বন্যার পানি কমলেও বাড়ছে রোগ বালাই
- আপডেট সময় : ০৬:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
আমরা জানি সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে সহ বেশ কিছু জেলায় বেশ ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। যদিও বন্যাকবলিত এলাকা গুলোতে পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা।
বন্যায় দূষিত পানি পান ও বন্যার পানিতে হাঁটাচলা করার কারণে এই ধরনের রোগ বৃদ্ধি পায়। বন্যার পানিতে তৈরি রোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, চোখের রোগ ইত্যাদি। তবে সিলেট বিভাগের কোন কোন জেলায় এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তেমন একটা আশঙ্কা জনক নয়।
সিলেট বিভাগের সিভিল সার্জন কার্যালয় এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এবারের বন্যায় সিলেটে এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮১৩ জন।
এরমধ্য বেশিরভাগ রুগী আক্রান্ত হয়েছেন চর্মরোগ এবং ডায়রিয়াতে। বাকিরা অন্যান্য পানিবাহিত রোগে ভুগছে।
এই সংখ্যা শুধু মাত্র বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উপর ভিত্তি করে। তবে বাস্তবে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা কয় গুণ বেশি। কারণ অনেক এলাকা হতে রোগীদের বন্যার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না।
বন্যার পানি কমলেও বাড়ছে রোগ বালাই
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার জন্মেজয় দত্ত সাংবাদিকদের কে জানান, বন্যায় পানিবাহিত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের ১৪৯ টি টিম মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।
সিলেটের পাশাপাশি সুনামগঞ্জেও এবার বেশ ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য ১০১ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। তবে সকল টিমের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান উল্লেখ করতে পারেনি তারা।
সুনামগঞ্জের পৌর শহর এলাকার ১ বাসিন্দার সাথে কথা বলা জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার তার নাতি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে বাড়ি চারিদিকে পানি, কোন নৌকার ব্যবস্থা নেই। আমি শুনেছি আমাদের জেলা মেডিকেল টিম কাজ করছে স্বাস্থ্য সেবার জন্য। কিন্তু তাদের জন্য অপেক্ষা করে আমি পাইনি। রাত শেষে পরের দিন আমি একটি নৌকা জোগাড় করে হাসপাতালে যাই।
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানি বন্দি মানুষদের অনেক চর্মরোগ ও পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে।
মৌলভীবাজার এলাকায় এবারের বন্যায় প্রায় ৩৯টি ইউনিয়নের নলকূপ এবং শৌচাগার তলিয়ে যায়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মতে সকল এলাকায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা ৮০২ জন।
পানিবন্দী মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মৌলভীবাজারে প্রায় ৭৪ টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা বানভাসি মানুষদের বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছেন এবং খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই এলাকায়ও চর্ম রোগে এবং ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি।