উন্নত চিকিৎসার জন্য নাফিস ইকবালকে ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
নাফিস ইকবালের বর্তমান শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। তবে পরবর্তী যেকোনো ঝুঁকি এড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নাফিস ইকবালকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রবিবার সকাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ব্যাংককে নেওয়া হবে।
সাবেক ক্রিকেটার নাফিসের অসুস্থতার খবর শুনে তার ছোট ভাই তামিম ইকবাল তাৎক্ষণিকভাবে দুবাই থেকে দেশে ফিরেন। তামিম ইকবাল দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর সবার সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অসুস্থ ক্রিকেটার নাফিস ইকবালের সাথে ব্যাংককে যাবেন তার মা, তার স্ত্রী এবং বোন। তারপর ভিসা করানোর পর যাবেন তামিম ইকবালও।
নাফিস ইকবালের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত নাফিস এখন শঙ্কামুক্ত অবস্থায় আছেন। তবে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের জনিত সমস্যা বলে যেকোনো সময় তার অবস্থার অবনতি হবে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন। সেই সাথে যে কোন জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মূলত তাকে বাইরের দেশে নেওয়া হচ্ছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য নাফিস ইকবালকে ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে
গত ৫ জুলাই শুক্রবার নিজ শহর চট্টগ্রামে প্রচন্ড অসুস্থ বোধ করছিলেন ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। তারপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। এরপর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয় ৩৯ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটারকে। ঢাকাতেও চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে মাইনর ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল তার।
তারপর নাফিস ইকবালের চিকিৎসার কার্যক্রম চলছিল এবং মোটামুটি এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। যেহেতু তিনি ইতিমধ্যে একটি মাইনর ব্রেইন স্ট্রোক করে ফেলেছেন তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পরিবার তাকে ব্যাংককে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গেছে যে নাফিসের সেরিব্রাল ভেনাস থ্রস্বোসিস অর্থাৎ মস্তিষ্কের ভেনাস সিস্টেমে রক্ত জমাট বেধে আছে। এটা মস্তিষ্কের বিরল একটি রোগ।
ক্রিকেট জীবনে নাফিস ইকবাল বাংলাদেশের পক্ষে ১১ টি টেস্ট এবং ১৬ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এর সাথে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন একসময়। তারপর ঘরোয়া কয়েকটি ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করে জায়গা করে জাতীয় দলে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ গুলোতে তার বেশ কিছু স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু এত সকল কিছুর পরেও ক্রিকেট জীবনকে দিতে পারেননি এবং ২০০৬ সালের পর তাকে আর জাতীয় দলে খেলতে দেখা যায়নি।
নাফিস ইকবাল ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া ম্যাচ গুলো খেলে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তিনি দলের লজিস্টিক ম্যানেজার ছিলেন।