অবরোধ তুলে বাংলা ব্লকেডের ডাক
- আপডেট সময় : ০৬:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ৪ ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশরত শিক্ষার্থীরা। গত ৭ জুলাই রাত ৮ টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন উক্ত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী আজ ৮ জুলাই সোমবার হতে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সেই অনুযায়ী বাংলা ব্লকেড ইতিমধ্য শুরু হয়ে গিয়েছে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন উক্ত আন্দোলনের সমন্বয় নাহিদ হাসান। তিনি সাংবাদিকদের কে বলেন, আমাদের সকল ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। সেটি আমরা আগে থেকে জানিয়ে রেখেছি। এজন্য আগামী বেশ কয়েকদিন আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চালু থাকতে পারে। এ ধরনের কর্মসূচি সারা দেশের ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। আমরা ইতিমধ্যে শাহবাগ এলাকা থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আগামীকাল আমরা ফার্মগেট ছাড়িয়ে যাব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই কোটা বিরোধী আন্দোলন সারা বাংলাদেশ এবং শহরের থেকে শহরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগামী দিন গুলোতে এটি আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের আদালত দেখালে আমরা সংবিধান দেখাবো।
অবরোধ তুলে বাংলা ব্লকেডের ডাক
আমাদের আদালতের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা ৫০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আর কত? শিক্ষার্থীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। হয় সারা বাংলাদেশের সকল নাগরিককে শতভাগ কোটার আওতায় নিয়ে আসতে হবে না হলে কোটা দূর করতে হবে।
বাংলা ব্লকেডের আগে ৪ দফা দাবিকে ১ দফায় রূপান্তরের কথা জানিয়েছেন চলমান আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন এতদিন ধরে আমরা ৪ দফা দাবির জন্য আন্দোলন করেছি। বাংলা ব্লকেড শুরুর দিন থেকে আমরা ১ দফা দাবিতে আন্দোলন করবো। আমাদের সেই এক দফা দাবি হবে, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানের উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম একটি পর্যায়ে এনে সেটা সংসদে আইন পাস করাতে হবে। শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে নয় সব গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার করতে হবে।
এদিকে কোটায় যদি আন্দোলনে অংশ নেওয়ার শিক্ষার্থীদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চালু হলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসীরা।