পুলিশের চাকরি থেকে সাকলায়েনের অব্যহতি নিয়ে যা বললেন নায়িকা পরীমনি

- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
নায়িকা পরিমনি কান্ডকে ঘিরে এডিসি সাকলায়েন কে পুলিশ হতে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে। বোট ক্লাবের একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে নায়িকা পরীমনি মামলা করেছিলেন। সেই মামলার দায়িত্বে থাকা গুলশানের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি সাকলায়েন এর সাথে নায়িকা পরিমনির সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নায়িকা পরিমনি এবং এডিসি সাকলায়েনের সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবি ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। সাধারণ মানুষের মনে এ নিয়ে বেশ আলোচনা এবং সমালোচনাও তৈরি হয়।
অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েনের বিরুদ্ধে পরিমনির বাসায় একাধিক রাত্রিযাপন এবং সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে এডিসি সাকলায়েনকে কে পুলিশ হতে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ কমিশনার চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করার ব্যাপারে নায়িকা পরীমনি এতদিন কিছু না বললেও সম্প্রতি কিছু বক্তব্য তিনি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমি বলার আগেই পাবলিক তো এটা নিয়ে বলছে। চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আমি এসব ব্যাপার নিয়ে বলার কেউ না। তবে সময় হলে সব বলব।
পুলিশের চাকরি থেকে সাকলায়েনের অব্যহতি নিয়ে যা বললেন নায়িকা পরীমনি
তবে তাদের দুজনের সম্পর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কোন সম্পর্কউ তো একা একা করা সম্ভব নয়। সেটার জন্য আমরা দুজনেই জড়িত। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কেউই পরিষ্কার নয়। আমরা দুজন কি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলাম নাকি আমাদের ভেতরে অন্য কোন সম্পর্ক ছিল সেটা নিয়ে পরিষ্কার কারো ধারণা নেই।
যদি এরকমটা ঘটে যে আমাকে নিয়েও কেউ কথা বলছে এবং আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে তাহলে আমি সেটা নিয়ে কথা বলব। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেরকম কিছু আমি পাইনি।
সাকলায়েনের সাথে পরিমনির সম্পর্ক কেমন ছিল সেটা জানতে চাওয়ায় তো তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কটা আসলে ডিফাইন করার আগেই অনেক অপবাদ নিয়ে ফেলেছি। যেহেতু এটা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে তাই আর কিছু বলতে চাই না। তবে আমাকে অপরাধী বানিয়ে কিছু বলা হলে তবে আমি কথা বলবো।
অভিযুক্ত এডিসি সাকলায়েনের চাকরি হারানোর ব্যাপারে গত ১৩ই জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ২ এর উপসচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনকে।
যদিও এই সুপারিশ কিছুদিন আগে পাঠানো হয়েছে, তবে এটি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।