খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বেড়ে গিয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। যার কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।

২৫ শে আগস্ট রবিবার সকালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ টি গেট ৬ ইঞ্চি পরিমাণ করে খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এজন্য ভাটি অঞ্চলে ইতিমধ্যে অঞ্চলের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলে এটিএম আব্দুজ্জাহের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে গত শনিবার দুপুরে এই তথ্য গুলি জানানো হয়। উক্ত চিঠিতে আরো বলা হয় দেশের বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতির নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র। যদি কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও বাড়তে থাকে তাহলে ১৬ টি গেট খুলে দেওয়া হবে।

কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলার ব্যাপারে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, বিগত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির কারণে রোদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা বা বিপদসীমা কাছাকাছি এসে পৌঁছে গেছে।

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট

তিনি আরো বলেন কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। ঘটনার দিন বিকাল পর্যন্ত পানি ধারণ হয়েছিল ১০৭.৬৬ এমএসএল। রাত পর্যন্ত সেটি এমনিতেই পর্যাপ্ত ধারন ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যেত। মত অবস্থায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেয়া হয়েছে যাতে পানির চাপ না পরে।

জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান সাংবাদিকদের কে জানান, কাপ্তাই হ্রদের এলাকার আশেপাশের পানির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খুলে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট। আশেপাশের মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং বাসা বাড়ির মানুষকে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশ জুড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশের প্রায় ১১ টি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিপন্দি অবস্থায় মানবতার জীবন যাপন করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে ইতিমধ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো নিরিবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢোলের কারণে পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে হাজার হাজার গ্রাম। বন্যার কবলে ইতিমধ্য ১১ জনের মৃ ত্যু র খবর পাওয়া গিয়েছে।

পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টিপাত না কমায় কাপ্তাই হ্রদের পানির বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারনে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেটের কিছু অংশ করে খুলে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বেড়ে গিয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। যার কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।

২৫ শে আগস্ট রবিবার সকালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ টি গেট ৬ ইঞ্চি পরিমাণ করে খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এজন্য ভাটি অঞ্চলে ইতিমধ্যে অঞ্চলের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলে এটিএম আব্দুজ্জাহের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে গত শনিবার দুপুরে এই তথ্য গুলি জানানো হয়। উক্ত চিঠিতে আরো বলা হয় দেশের বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতির নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র। যদি কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও বাড়তে থাকে তাহলে ১৬ টি গেট খুলে দেওয়া হবে।

কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলার ব্যাপারে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, বিগত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির কারণে রোদের পানি সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা বা বিপদসীমা কাছাকাছি এসে পৌঁছে গেছে।

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট

তিনি আরো বলেন কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। ঘটনার দিন বিকাল পর্যন্ত পানি ধারণ হয়েছিল ১০৭.৬৬ এমএসএল। রাত পর্যন্ত সেটি এমনিতেই পর্যাপ্ত ধারন ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যেত। মত অবস্থায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেয়া হয়েছে যাতে পানির চাপ না পরে।

জেলা প্রশাসক মোঃ মোশারফ হোসেন খান সাংবাদিকদের কে জানান, কাপ্তাই হ্রদের এলাকার আশেপাশের পানির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খুলে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেট। আশেপাশের মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং বাসা বাড়ির মানুষকে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশ জুড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশের প্রায় ১১ টি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিপন্দি অবস্থায় মানবতার জীবন যাপন করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে ইতিমধ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো নিরিবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢোলের কারণে পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে হাজার হাজার গ্রাম। বন্যার কবলে ইতিমধ্য ১১ জনের মৃ ত্যু র খবর পাওয়া গিয়েছে।

পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টিপাত না কমায় কাপ্তাই হ্রদের পানির বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারনে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ টি গেটের কিছু অংশ করে খুলে দেয়া হয়েছে।