ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে
- আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহের ব্যবধানের ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়েছে। তবে অন্যান্য সবজি যেমন কাঁচা মরিচ আদা রসুন পেঁয়াজ এবং গুড়ের মাংসের দাম কিছুটা কমেছে আগের চেয়ে। চালের দাম বেশ কিছুদিন আগে বৃদ্ধি পেল এখন পর্যন্ত কমেনি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা যেমন নিউমার্কেট তুরাগ কাওরানবাজার নতুন বাজার ইত্যাদি এলাকায় খোঁজ নিয়ে নিত্য পণ্যের দামের এই তালিকাটি পরিলক্ষিত হয়। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে কাঁচামরিচ পেঁয়াজসহ বেশ কিছু সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বন্যা দুর্গতদের অনেক মানুষ তুলনামূলক ভাবে কম দামে ছাগল এবং গরুসহ অন্যান্য গবাদি পশু বিক্রি করছে। যার কারণে মাংসের দাম কিছুটা কমে গিয়েছে।
ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিভিন্ন সূর্যের দাম দেখা গিয়েছে যেমন: কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি যা আগের সপ্তাহের ছিল প্রায় ২৫০ টাকা কেজি।
অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় 40 থেকে 80 টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে প্রায় 5 থেকে 10 টাকা করে। গত সপ্তাহের যে পিএস বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।
ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে
রোজা রোজা ঈদের পর থেকে রসুনের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি রসুনের দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। সেই সাথে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি।
অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বেগুনের দামও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজির বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে 90 থেকে 100 টাকা পর্যন্ত। আলুর দাম গত সপ্তাহেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে।
ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও যারা বলেন বন্যার কারণে সবজির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খুব একটা অক্সিজেন হয়নি এর দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফার্মের বাদামি ডিমের হালি এখন ৫০ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি। কিছুদিন আগেও যার দাম প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা ছিল। ডিম এক সপ্তাহ আগেও ৪৬ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। অথচ এক মাসের আগেই হাঁড়িতে পাঁচ থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি গত জুলাই মাসে দেশ জুড়ে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দাম চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সে সময় দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা পরিবহন ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। অথচ ইতিমধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক হয়ে গিয়েছে কিন্তু চালের দাম কমেনি।