আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ১১:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের কে বলেছেন, যতদূর সম্ভব আগের শিক্ষাক্রমে তারা ফিরে যাবেন। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে যাতে যে সকল শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী লেখাপড়া করছে তাদের জন্য কোন সমস্যা না হয়। এইজন্য বর্তমান শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন গত রবিবার শপথ নেওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে এই বক্তব্যটি করেন। তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে দিন দিন প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা যতদূর সম্ভব আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। কিন্তু এমন ভাবে ফিরে যাবো যাতে শিক্ষার্থীরা এর সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।
গত বছরে প্রথমে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আর চলতি বছরে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতেও নতুন পাঠক্রম প্রধান চালু হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীতে চালু হওয়ার কথা ছিল আগামী ২০২৭ সালে।
এ বছর যারা নবম শ্রেণীতে পড়ছে তারা দশম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। নতুন শিক্ষাক্রমে শিখন এবং পাঠ কার্যক্রমে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকে এই পদ্ধতিতে এর উপরে নানারকম আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার এই শিক্ষাক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা
সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন শিক্ষাক্রম উপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তবে যে সকল শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে লেখাপড়া করছে তাদেরকে বিপাকে ফেলে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের বোর্ডকে দলীয়করণ করা হয়েছে। ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে দলীয়করণ এবং রাজনীতি প্রবেশ করেছে। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। রাজনীতি এবং দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমের অবস্থা দিন দিন বেহাল হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্য নেতৃত্ব ও অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে এই সকল শূন্য পদ পূরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা কাঠামোর ভেতরে দলীয়করণ এবং রাজনীতি মুক্ত করার ব্যাপারেও তিনি জানান।
আমরা জানি নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম এবং দশম শ্রেণীতে আলাদা আলাদা পাঠক্রম থাকবে। সেই সাথে বিজ্ঞান, কমার্স কিংবা আর্টস বিভাগ থাকবে না। ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণীর মতোই সাধারণ বইগুলো শেষ করার পর সেই সিলেবাসের উপরেই দশম শ্রেণীতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। যে কারণে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষাও দুই মাসে এগিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার মতে খুব শীঘ্রই আগের শিক্ষাক্রমে ফেরত দেওয়া হবে।