যৌনাঙ্গে চুলকানির কারণ এবং প্রতিকার
- আপডেট সময় : ১২:৪১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
যৌনাঙ্গের চুলকানির কারণ গুলো জেনে ঘরোয়া উপায়ে সেগুলো প্রতিকার করা সম্ভব। নানা কারণে আমাদের যৌনাঙ্গের চুলকানি দেখা দেয়। এতে করে বিভিন্ন সময় এবং স্থানে বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় এবং এর থেকে বড় কোন ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়।
চলুন জেনে নেই যৌনাঙ্গে চুলকানির কারণ এবং এর ঘরোয়া প্রতিকার
মানসিক চাপ
শুনতে হাস্যকর মনে হলেও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানির সৃষ্টি হয়। কারণ এতে করে শরীরের বিভিন্ন রকম হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। নারীদের ক্ষেত্রে এটা সবচাইতে বেশি খারাপ অবস্থার তৈরি করে। তাই নিজেকে যথা সম্ভব মানুষের চাপ থেকে মুক্ত রাখা চেষ্টা করুন।
পিরিয়ডের সমস্যা
পিরিয়ডের সমস্যার কারণে নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। ফলে নারীদের যোনির পাতলা আবরণটি আরো পাতলা হয়ে যায়। যার ফলস্বরূপ সেখানে চুলকানি দেখা দেয়। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুষ্ক ত্বক
ত্বক শুষ্ক থাকলে সারা শরীরে এবং যৌনাঙ্গে চুলকানি দেখা যেতে পারে। আপনার বয়স যত বৃদ্ধি পাবে তাকে আদ্রতা বজায় রাখা ঠিক ততটাই কঠিন হতে থাকবে। তাই শরীরে বিভিন্ন রকম লোশন কিংবা তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চুলকানির সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে রক্ষা পাবেন।
বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য
আমরা যৌনাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। যেমন সেনেটারি টাওয়েল, মেয়েদের ক্ষেত্রে সেনেটারি প্যাড, মলম, ক্রিম, গর্ভনিরোধক ফোম কিংবা জেল ইত্যাদি। এ সকল পণ্য ব্যবহার করার কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি দেখা যায়। তাই যথাসম্ভব এ সকল পণ্য ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন।
যৌনাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করার উপায়
দইয়ের লেপ
খানিকটা দইয়ের মধ্যে একটা পট্রি প্রায় কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই পট্টিকে যোনীতে ভালোভাবে লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে যৌনাঙ্গের চুলকানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
খানিকটা গরম পানিতে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশ্রিত করে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ ভালো করে ধুয়ে নিন। পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের চুলকানি হতে রেহাই পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ফলো করুন।
যৌনাঙ্গে চুলকানির কারণ এবং প্রতিকার
বরফ ব্যবহার
যৌনাঙ্গের চুলকানি হতে রক্ষার পর আরেকটি অন্যতম ঘরোয়া পদ্ধতি হচ্ছে বরফের ব্যবহার। রাতের বেলা যৌনাঙ্গে বরফ কিংবা একদম ঠান্ডা পানির সেক দিতে হবে। ঘরোয়া এই পদ্ধতিতে চুলকানি দূরীকরণে খুবই কার্যকরী।
লবণ পানিতে গোসল করা
গোসল করার সময় বালটিতে কিংবা পানিতে ৪ টেবিল চামচ লবন মিশ্রিত করে নিন। তারপর সে লবন মিশ্রিত পানিতে নিজেকে অন্ততপক্ষে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২ দিন এই পদ্ধতি ফলো করুন দেখবেন সকল চুলকানি দূর হয়ে গিয়েছে।
আশা করি যৌনাঙ্গের চুলকানির কারণ এবং এর ঘরোয়া প্রতিরোধ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে। এরকম আরো প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।
ফ্রিজে খাবার সতেজ রাখার টিপস জানতে এখানে প্রবেশ করুন।