ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখা নিয়ে আলোচনা
- আপডেট সময় : ০৭:২১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমূহে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাকি সকল সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হয়। উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সকল সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের এমডি এবং পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা।
উক্ত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সবাইকে মনোবল চাঙা রাখার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এছাড়াও বিগত বেশ কিছুদিন ধরে চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতের ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাতে ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখার উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিদের এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয় যে, চলমান অস্থিরতায় ডাচ বাংলা ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৪ জন কর্মকর্তা মারা গিয়েছেন। তবে ব্যাংকিং খাতের সম্পত্তির এমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম এবং কয়েকটি শাখা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখা নিয়ে আলোচনা
ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখার বিষয়ে ওই সভায় গভর্নরকে আরো জানান, ব্যাংক বন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে এটিএম সেবা চালু ছিল। তবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয় ব্যাংকিং সেবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি একটি পৃথক লাইন বা ইন্টারনেট ছাড়া কেবল লাইন দিয়ে সম্পূর্ণ করা যেতে পারে।
ইন্টারনেটে ব্যাংক সেবা চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্যত বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক ডাচ বাংলা, ব্যাংক এশিয়া এবং ব্রাক ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের এমডিরা।
এপ্রশ্নের জবাবে সেলিম আর এফ রহমান সাংবাদিকদের কে জানান, প্রবাসী আয় মাঝে মাঝে কমবে আবার মাঝে মাঝে বাড়বে। এ নিয়ে তেমন উদ্বেগের কোন কিছু নেই। তবে এবার ব্যবসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এটাকে নিয়ে অনেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছে। সেই সাথে ইন্টারনেট ছাড়া ব্যাংক সেবা চালু রাখার বিষয়ে আরো আলোচনা হয়।