ছাগল কান্ডের মতিউর রহমানের পেনশন সুবিধা বাতিল করে অবসর
- আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ছাগল কান্ডের মতিউর রহমানের পেনশন সুবিধা বাতিল করে অবসর দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ৩১ শে জুলাই এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন ইতি মধ্যে জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। উক্ত প্রজ্ঞাপনে উপসচিব মহিমা বেগম বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন।
ছাগলকান্ডের মতিউর রহমানের অবসরের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চাকরি কাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ শে আগস্ট ২০২৪ তারিখ হতে থাকে তাকে অবসরে পাঠানো হলো। অবসরজনিত সকল আর্থিক সুবিধা যেমন ছুটি, পেনশন ব্যতীত তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে এটিও উল্লেখ করা হয়।
কোরবানির ঈদে ভাইরাল হওয়া ১৫ লাখ টাকা ছাগল কিনে আলোচনার তৈরি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাদ নামের একটি তরুণ ছেলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে ওই ইফাদ এনবিআর এবং ভ্যাট ট্রাইব্যুনালে কর্মরত মতিউর রহমানের সন্তান। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কিভাবে বিপুল টাকার মালিক হয় এবং ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ছাগল ক্রয় করেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এমনকি ছাগল কেনা ঐ তরুণ মতিউর রহমানের কেউ নয় এমনটিও দাবি করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে অনুসন্ধানে মতিউর রহমানের বিশাল অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে।
ছাগল কান্ডের মতিউর রহমানের পেনশন সুবিধা বাতিল করে অবসর
ছাগল কান্ডের মতিউর রহমান বাণিজ্য ক্যাডারে ১১ তম ব্যাচের যোগদান করলেও পরবর্তীতে ১৩ ব্যাচের সঙ্গে কাস্টমস ক্যাডারে যোগদান করেন। নতুন ক্যাডার যোগদান করার পর থেকে তার সহায় সম্পত্তির পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। চাকরিজীবনে তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সাথে রাজস্ব বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যানের বিশ্বস্ত হিসেবে বৃহৎ করদাতা ইউনিট ভ্যাটের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।
তারপর ইফাতের ছাগল কেনার পরে তুমুল ভাইরাল হয় রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান।। তিনি ইফাতের সাথে পরিচয় পুরোপুরি অস্বীকার করলেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় ইফাতের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি এবং বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য তাদের নামেই।
আরো জানা গিয়েছে ছাগল কান্ডের মতিউর রহমান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন। তার পারিবারিক মালিকানায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হেডকোয়ার্টারও ওই এলাকায় অবস্থিত। মতিউর রহমানের আরেক ছেলে অর্ণবের নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার নাম হচ্ছে অর্ণব ট্রেডিং। এছাড়াও তার মেয়ের ল্যাম্বরগিনি গাড়ির সাথে কিছু ছবি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে গাড়ীর দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় চার কোটি টাকা।
এরপরে ছাগল কান্ডের মতিউর রহমানের তেমন কোন খোজ খবর পাওয়া যায়নি।
কতদিন পর পর সহবাস করা উচিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।