উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেই আলোচিত সাদেক এগ্রো ফার্ম
- আপডেট সময় : ১০:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ থেকে ভাইরাল হওয়া সাদেক এগ্রো ফার্ম উচ্ছেদ করা হচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় খালের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে সাদেক এগ্রো ফার্ম।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে মোহাম্মদপুরের মসজিদ হাউসিং এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
মোহাম্মদপুরের খাল হতে সাদেক এগ্রো উচ্ছেদের অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর অঞ্চল ৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাব্বির আহমেদ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের কে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাদেক এগ্রো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দুপুর ১২ টার কিছুক্ষণ পর থেকে ভ্রাম্যমান আদালত সাদেক এগ্রো খামারের পশ্চিম অংশের অফিস ভাঙ্গার মাধ্যমে এই উচ্ছেদ অভিযানটি শুরু করে। সেই সাথে খামারের স্থাপনা গুলি বোলডুজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
তারপর সাদেক এগ্রো ফার্ম থেকে সে ১৫ লাখ টাকার ছাগল বের করে রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গা রাখা হয়। এর সাথে আরো অন্যান্য ছাগল এবং দুম্বা বের করে আনা হয়।
এদিকে সাদেক এগ্রো উচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলছেন এটির মালিক ইমরান হোসাইন। যদিও বেশ কিছু দিন যাবত তার সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেই আলোচিত সাদেক এগ্রো ফার্ম
আর ২৭ শে জুন বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমি আসলে এই জমির মালিক নই। আমি এখানে একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করেছি মাত্র। তাই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই এবং কিছু যায় আসে না। আমি আমার সবকিছু নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবা।
আজ সকালে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার আগে নিজের লোকজন দিয়ে তার এগ্রো ফার্মের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সরিয়ে নেন। এছাড়া ফার্মের পশু গুলি তিনি আগের দিন রাতে সরিয়ে নিয়েছেন।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর তিনি সিটি কর্পোরেশনকে স্বাগত জানান।
তিনি দাবি করছেন যে যে খালটিতে তিনি তার সাদেক এগ্রো খামার গড়ে তুলেছেন সেটির মালিক নন তিনি। উক্ত খালের মালিক স্থাপনার দ্বিতীয় তলায় থাকেন। তিনি তার জায়গায় বিল্ডিং করেছেন আমি শুধুমাত্র নিচের একতলা ভাড়া নিয়েছি। খাল ভরাট করা সহ যা কিছু হয়েছে সবকিছুই উক্ত মালিকের। সিটি কর্পোরেশন যদি মনে করেন যে এটা ভেঙে দেবে তো ভেঙে দিতে পারেন।
সাদেক এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ ইমরান হোসাইন গবাদি পশু খামারিদের সংগঠন ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
ঈদুল আযহা বা কোরবানির কে কেন্দ্র করে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে সাদেক এগ্রো খামার সম্পর্কে।