নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বেশি কেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বেশি কেন

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি নেপালে বিমান দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। দেশের রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রধান বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়নের সময় একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। গত ২৪ শে জুলাই বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা নিহত হলেও বেঁচে গেছেন শুধু বিমানটির পাইলট। নেপালের বিমান দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির দুর্বল বিমান নিরাপত্তার বিভিন্ন তথ্য।

নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গুলোর মধ্যে ১৪ টির মধ্য আটটি হয়েছে ভারত ও চীনের মধ্য নেপালে। উচু উঁচু শৃঙ্গ অবস্থিত থাকায় বিমান গুলোকে প্রায়ই দূরবর্তী পাহাড় বা হিমালয় শৃঙ্গের কাছাকাছি ছোট বিমানবন্দর গুলোকে অনবরত সেবা বা সার্ভিস প্রদান করতে হয়। সেই সাথে দেশটিতে হঠাৎই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় যা বাতাসের গতি এবং তীব্রতা কে পরিবর্তন করে ফেলে। যার কারণে বিমান চলাচল বেশ কষ্টসাধ্য হয় এবং নেপালের বিমান দুর্ঘটনা বেশি সংঘটিত হয়।

গত বছরের একটি প্রতিবেদনে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত কোন বাধা কিংবা সংঘর্ষই হয় বিমান দুর্ঘটনার প্রধান কারন। যা আগের বছরগুলোর বিমান দুর্ঘটনার প্রায় ৯৩ শতাংশের জন্য দায়ী রয়েছে।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বেশি কেন

এছাড়া নেপালে বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সমতল ভূমির অভাব। যার কারণে বিভিন্ন উঁচু-নিচু এলাকা গুলো খনন করে সমতল ভূমি আকারে বিমানবন্দর গুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে এসব বিমানবন্দর গুলোতে বিমান ল্যান্ড করানোর জন্য পাইলটদের অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কারণ এ সকল বিমানবন্দরের সামনে কিংবা উভয় প্রান্তেই রয়েছে ঢাল। এছাড়া নেপাল সরকার বিমান রক্ষণাবেক্ষণে খুব বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করেনি। যার কারণে এই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৩ সালে নেপালের প্রাত্যহিক বিমান বাহক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। যদিও পরবর্তীতে সেটি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নেপালের বিমান দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নেপালের পাইলটদের উন্নত প্রশিক্ষণ আহ্বান জানিয়েছে তারা। কারণ বিমান দুর্ঘটনা সবচাইতে বেশি ঘটে পাইলটদের দুর্বল সিদ্ধান্তের কারণে। বিগত তিন দশকের মধ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ৭২ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। সে সময় উক্ত বিমানের পাইলটের অসচেতনাকে দায়ী করা হয়েছিল দূর করার জন্য।

একটি দেশের বিমান চলাচল বেশ কয়েকটি পৃথক সংস্থা পরিচালনা করে। তবে নেপালের সিএএএন একাই এই দুটি দিক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এটি কোনভাবেই উচিত নয়। যার কারণে বিমান পরিবহনের দুর্নীতি দেখা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে এবং নেপালের বিমান দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বেশি কেন

আপডেট সময় : ১০:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

সম্প্রতি নেপালে বিমান দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। দেশের রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রধান বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়নের সময় একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। গত ২৪ শে জুলাই বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা নিহত হলেও বেঁচে গেছেন শুধু বিমানটির পাইলট। নেপালের বিমান দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির দুর্বল বিমান নিরাপত্তার বিভিন্ন তথ্য।

নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গুলোর মধ্যে ১৪ টির মধ্য আটটি হয়েছে ভারত ও চীনের মধ্য নেপালে। উচু উঁচু শৃঙ্গ অবস্থিত থাকায় বিমান গুলোকে প্রায়ই দূরবর্তী পাহাড় বা হিমালয় শৃঙ্গের কাছাকাছি ছোট বিমানবন্দর গুলোকে অনবরত সেবা বা সার্ভিস প্রদান করতে হয়। সেই সাথে দেশটিতে হঠাৎই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় যা বাতাসের গতি এবং তীব্রতা কে পরিবর্তন করে ফেলে। যার কারণে বিমান চলাচল বেশ কষ্টসাধ্য হয় এবং নেপালের বিমান দুর্ঘটনা বেশি সংঘটিত হয়।

গত বছরের একটি প্রতিবেদনে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে বলা হয়েছে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত কোন বাধা কিংবা সংঘর্ষই হয় বিমান দুর্ঘটনার প্রধান কারন। যা আগের বছরগুলোর বিমান দুর্ঘটনার প্রায় ৯৩ শতাংশের জন্য দায়ী রয়েছে।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বেশি কেন

এছাড়া নেপালে বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সমতল ভূমির অভাব। যার কারণে বিভিন্ন উঁচু-নিচু এলাকা গুলো খনন করে সমতল ভূমি আকারে বিমানবন্দর গুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে এসব বিমানবন্দর গুলোতে বিমান ল্যান্ড করানোর জন্য পাইলটদের অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কারণ এ সকল বিমানবন্দরের সামনে কিংবা উভয় প্রান্তেই রয়েছে ঢাল। এছাড়া নেপাল সরকার বিমান রক্ষণাবেক্ষণে খুব বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করেনি। যার কারণে এই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৩ সালে নেপালের প্রাত্যহিক বিমান বাহক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। যদিও পরবর্তীতে সেটি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নেপালের বিমান দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নেপালের পাইলটদের উন্নত প্রশিক্ষণ আহ্বান জানিয়েছে তারা। কারণ বিমান দুর্ঘটনা সবচাইতে বেশি ঘটে পাইলটদের দুর্বল সিদ্ধান্তের কারণে। বিগত তিন দশকের মধ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় ৭২ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। সে সময় উক্ত বিমানের পাইলটের অসচেতনাকে দায়ী করা হয়েছিল দূর করার জন্য।

একটি দেশের বিমান চলাচল বেশ কয়েকটি পৃথক সংস্থা পরিচালনা করে। তবে নেপালের সিএএএন একাই এই দুটি দিক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এটি কোনভাবেই উচিত নয়। যার কারণে বিমান পরিবহনের দুর্নীতি দেখা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে এবং নেপালের বিমান দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে জানতে এখানে প্রবেশ করুন।