সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫%

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫%

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শুরু হয়েছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই রবিবার হাইকোর্টের রায়ে পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫% বহাল রাখা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা ১% এবং উপজাতি কোটা ১% করে সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকুরিতে মোট কোটা রাখা হয়েছে ৭%। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে ৯৩%।

এর আগের কোটা পদ্ধতিতে সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা রাখা হয়েছিলো মোট ৩০%। যেই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেছিলেন ২ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। গত রবিবার ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সেই রায় টি বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য সংস্কার করতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছে। বেশ কিছুদিন আন্দোলন অব্যহত থাকার পর তারা বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই থেকে সারা বাংলাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। যার ফলে জনজীবনে নেমে আসে চারম দূর্ভোগ। সকল স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এইচএসসি সহ যাবতীয় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ অন্যন্য সকল কোটা সংস্কার করে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সারা বাংলাদেশ হতে শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাংবাদিকদের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন।

সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫%

কোটা সংস্কার নিয়ে এবারে আন্দোলনটি ছিল মূলত দ্বিতীয় দফা। এই আন্দোলনের মূল কার্যক্রমটি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। সে সময় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোর পর থেমে গিয়েছিল। সেই আদালতের রায়ের পর দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয় এবছরের জুন থেকে। যে আন্দোলনটি ক্রমান্বয়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। যার কারণে গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশের ইন্টারনেট ডাটা সেন্টার গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত হাজার খানেক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সারাদেশে সেনাবাহিনী, বিডিআর এবং বিজিবি নামানো হয়।

এবারের কোটা আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা মোট নয়টি দাবি কথা জানান। তার মধ্য কোটা সংস্কারের রায়ে ইতিমধ্য প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সরকারি প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে মেধায় নিয়োগ করা হবে ৯৩% এবং মুক্তি কোঠায় নিয়োগ করা হবে ৭%।

শিক্ষার্থীদের দাবি গুলোর মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সাথে দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণে যে সকল শিক্ষার্থী এবং নাগরিক শহীদ এবং আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫%

আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শুরু হয়েছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই রবিবার হাইকোর্টের রায়ে পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫% বহাল রাখা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা ১% এবং উপজাতি কোটা ১% করে সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকুরিতে মোট কোটা রাখা হয়েছে ৭%। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে ৯৩%।

এর আগের কোটা পদ্ধতিতে সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা রাখা হয়েছিলো মোট ৩০%। যেই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেছিলেন ২ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। গত রবিবার ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সেই রায় টি বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য সংস্কার করতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছে। বেশ কিছুদিন আন্দোলন অব্যহত থাকার পর তারা বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই থেকে সারা বাংলাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। যার ফলে জনজীবনে নেমে আসে চারম দূর্ভোগ। সকল স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এইচএসসি সহ যাবতীয় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ অন্যন্য সকল কোটা সংস্কার করে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সারা বাংলাদেশ হতে শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাংবাদিকদের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন।

সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫%

কোটা সংস্কার নিয়ে এবারে আন্দোলনটি ছিল মূলত দ্বিতীয় দফা। এই আন্দোলনের মূল কার্যক্রমটি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। সে সময় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোর পর থেমে গিয়েছিল। সেই আদালতের রায়ের পর দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয় এবছরের জুন থেকে। যে আন্দোলনটি ক্রমান্বয়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। যার কারণে গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশের ইন্টারনেট ডাটা সেন্টার গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত হাজার খানেক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সারাদেশে সেনাবাহিনী, বিডিআর এবং বিজিবি নামানো হয়।

এবারের কোটা আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা মোট নয়টি দাবি কথা জানান। তার মধ্য কোটা সংস্কারের রায়ে ইতিমধ্য প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সরকারি প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে মেধায় নিয়োগ করা হবে ৯৩% এবং মুক্তি কোঠায় নিয়োগ করা হবে ৭%।

শিক্ষার্থীদের দাবি গুলোর মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সাথে দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণে যে সকল শিক্ষার্থী এবং নাগরিক শহীদ এবং আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।