আবু সাঈদ চত্বর রংপুর নামকরণ করলেন শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ০৬:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুরো দেশ জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ইতি মধ্যেও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যেও একজন হলেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। আর তার নামে রংপুর পার্ক চত্বর এলাকার নামকরণ করা হয়েছে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
গত ১৭ জুলাই বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে নিজেদের প্রোফাইল, পেইজ এবং অন্যান্য গ্রুপের মাধ্যমে এই দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা গুগল ম্যাপেও রংপুর পার্ক মোড়ের জায়গার নাম শহীদ আবু সাঈদ চত্বর নাম দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফেসবুকে একজন মন্তব্য করেছেন, ইতিমধ্য গুগল ম্যাপে পার্ক মোড়ের জায়গায় আব্বু শহীদ আবু সাঈদ চত্বর নাম দেওয়া হয়েছে। এখন বাকিটুকু আপনাদের মনের ইচ্ছা। তাকে আপনারা সম্মান জানাবেন নাকি চত্বরকে অন্য নামে ডাকবেন।
আরেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট করেন, আজ থেকে রংপুর পার্ক মোড়ের নাম হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর। নিচে তিনি প্রচারে সাধারণ শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা একযোগে আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রধান প্রধান সড়ক তারা অবরোধ করেছে।
কোটা সংস্ককারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে তারা ইতিমধ্য সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
উক্ত হামলায় রংপুরের বেরোবি এর শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে শহীদ আবু সাঈদ বলে সম্বোধন করছেন।
আবু সাঈদ চত্বর রংপুর নামকরণ করলেন শিক্ষার্থীরা
গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহরের লালবাগ এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। তারপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রলীগের সদস্যরা তাদেরকে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘাত বেধে যায়।
তখন পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের দিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যেই মিছিলের সম্মুখ থেকে বুক পেতে দেয় দেয় আবু সাঈদ। পরবর্তীতে তিনি গুলির আঘাতে নিহত হন।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। এ কারণেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
এদিকে আবু সাঈদ নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল পার্ক মোড়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর নামকরণ করার দাবি জানান। তাদের যারা দাবি জানিয়ে এলাকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি প্রচার করতে থাকেন।
তারপর ১৭ জুলাই বুধবার সারা দেশে আবু সাঈদের স্মরণে আবু সাঈদের স্মরণে গায়েবানা জানার অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত আবু সাঈদ রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের মকবুল হোসেনের ছেলে। অসহায় পরিবারের মধ্যে আবু সাঈদের ছিলেন একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে। তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালোন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। তারপর এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ এবং এইচএসসি তে জিপি ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তারপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চান্স পান তিনি।
স্থানীয়দের ধারণা ছিল আবু সাঈদ বড় হয়ে জীবনে অনেক বড় কিছু হতে পারতেন এবং পরিবার, এলাকার জন্য অনেক বড় ভূমিকা বা অবদান রাখতে পারতেন।
শাহরুখ খান বিশ্বের কততম ধনী জানতে এখানে প্রবেশ করুন।