নদ নদীর পানি বাড়ছে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে
- আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে গাইবান্ধার সব নদনদীর পানি দিন দিন বেড়েই চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট, তিস্তা এবং করোতোয়া নদীর পানি বেশ খানিকটা বেড়েছে।
গাইবান্ধার উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, উজানের ঢল এবং প্রচুর ভারী বৃষ্টির কারণে এই এলাকার সকল নদনদীর পানি বেড়েছে। তবে তিস্তা বাদে অন্য বাকি নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচে রয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের পানির কারণে পুনরায় বন্যার আশঙ্কা নিম্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। সেই সাথে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ৩ দিন এই জেলায় আরো ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পৌরসহ এলাকার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এতে করে সুনামগঞ্জের পাহাড়ি এলাকার নিচে অবস্থিত গ্রাম গুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সাথে বেশ কিছু সড়ক ডুবে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা চলাচলের জন্য নৌকা ব্যবহার করছেন।
নদ নদীর পানি বাড়ছে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের কে বলেন, এভাবে পাহাড়ি ঢল এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে খুবই শীঘ্রই স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে। তবে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে।
গাইবান্ধা এবং সুনামগঞ্জের পাশাপাশি সিলেটেও গত ২৪ ঘন্টায় নদীর পানি অনেকটাই বেড়েছে। সেই সাথে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিলেট এলাকায় আগামী ৭২ ঘণ্টা অতি ভাড়ী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের অনেক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশল দীপক রঞ্জন দা সাংবাদিকদের কে বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বেশ বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে সিলেটের নিম্ন অঞ্চল গুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে পানির পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে, ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।
সিলেটের জেলা প্রশাসন কর্তৃক জানা যায়, মোট ১৩ টি উপজেলার মধ্য ১০ টি উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। পুরো জেলায় আরও ৬৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। তবে সিলেটের সিটি কর্পোরেশন এবং সদর উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কোন লোকজন আসেননি।