অপসারণ করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানদের
- আপডেট সময় : ১১:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকেও অপসারণ করার কাজ চলছে। গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন এর পর থেকেই দেশের অনেক জায়গার ইউপি সদস্যরা সাধারণ মানুষের আড়ালে রয়েছেন। যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে সেবা প্রধান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যার করে প্রেক্ষিতে অন্তবর্তী কালীন সরকার ইউপি সদস্যদের অপসারণের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে এই সিদ্ধান্তটি আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে বেশ কয়েক দফায় সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মেয়র এবং জেলা পরিষদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদেরকে সরিয়ে সরকার এর প্রশাসক নিয়োগ করেছিল বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তি করেন সরকার। যাতে করে কোন ধরনের নাগরিক সেবা প্রদান করতে সমস্যা না হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১০ দিনের পরেই এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী যদি কোন ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা ইউপি সদস্য পদত্যাগ করেন তাহলে সেই পদটি শূন্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়াও কোন সদস্যের মৃ ত্যু ঘটলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন প্যানেল চেয়ারম্যান। এ সকল নিয়ম ছাড়াও যদি কোন সদস্য বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী ফৌজদারী মামলায় আসামি বা দণ্ডিত হন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন কাজ করেন তাহলে ওই পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে সাময়িকভাবে অপসারণ করতে পারবেন।
অপসারণ করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানদের
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৪৫৭১ টি। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এ সকল পদে থাকা প্রায় ২ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে সাধারণ মানুষের আড়ালে রয়েছে। যার কারণে জনগণ পর্যাপ্ত পরিমাণে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমরা জানি জাতীয় পরিচয় পত্র, বিভিন্ন ধরনের ভাতা, জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র ইত্যাদি কাজের জন্য প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদে সাজাতে হয় সাধারণ জনগণকে। কিন্তু কিন্তু এই সকল পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। সমস্যার খুব জরুরীভাবে সমাধান প্রয়োজন। তাই পুনরায় এ সকল সেবা চালু করার লক্ষ্যে ইউপি সদস্যদের অপসারণ করে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদানের জন্য উদ্যেগ গ্রহণ করছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
এব্যাপারে সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবুল আলম শহীদ খান সাংবাদিকদের কে জানান স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সংস্থা গুলিতে যেভাবে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ঠিক একইভাবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সদস্য অপসারণ করে জনগণের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
বাইতুল মোকাররমের খতিব ড. মুফতি ওয়ালিযুর রহমান খান, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।