সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়
- আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
গর্ভধারণ নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্নের শেষ নেই। বিশেষ করে যারা মা এবং বাবা হতে চাইছেন তাদের মনে একটি প্রশ্ন সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়। মিলনের ঠিক কতদিন পরে একজন নারী গর্ভবতী হতে পারে কিংবা কতদিন পরে পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে তা জানার আগ্রহ প্রায় সব নারী-পুরুষদেরই। কারণ গর্ভাবস্থায় সুখবর পরিবারের জন্য এক আনন্দময় মুহূর্ত। এর সাথে গর্ভবতী নারীর শারীরিক এবং মানসিকভাবেও নানা পরিবর্তনের সম্মুখীন হন। চলুন এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সহবাসের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়
চিকিৎসকরা বলেন মিলনের সঙ্গে সঙ্গে কেউ গর্ভধারণ করে না। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। সাধারণত একটি শুক্রাণু নারীদের জড়ায়ুতে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় প্রায় ২ থেকে ৩ দিন। তারপর সেই শুক্রাণুটি যদি ডিম্বানুর সাথে যুক্ত হয় তবেই ভ্রূণ তৈরি হয়।। চিকিৎসকদের মতে নারীদের গর্ভধারণের জন্য সময় লাগে প্রায় ৩ থেকে ৪ দিনের মতন।
আবার ডিম্বানুর সাথে মিলিত হওয়ার পর একটি শুক্রাণু প্রায় ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই ৫ দিন সময়ের মধ্যে যদি শুক্রানুটি ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে তাহলে একজন নারী গর্ভবতী হতে পারেন। অপরদিকে এই সময়টি পেরিয়ে গেলে আর গর্ভধারণের কোন সম্ভাবনা নেই।
সহবাসের কতদিন পর গর্ভধারণ হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারী গর্ভবতী হলে তার কিছু দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশিত হয়ে থাকে। তবে সেটি আসলেই গর্ভধারণের কারণে হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। যদি কোন নারীর সহবাসের পর পিরিয়ডের তারিখ একটি পার হয়ে যায় তবে এই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো যেতে পারে।
সবচাইতে ভালো হয় পিরিয়ডের ডেট পার হয়ে যাওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পরে প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে। প্রথম থেকে আপনি ঘরোয়া উপায়ে এই পরীক্ষাটি করতে পারেন। এতে করে পজিটিভ ফলাফল পেলে তবে হাসপাতালে গিয়ে ব্লাড টেস্ট করানো যেতে পারে। তারপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে।
অর্থাৎ সহবাসের পর প্রথম পিরিয়ড পার হয়ে যাওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে। আর সহবাস করার ১ সপ্তাহের মধ্যেও গর্ভধারণ হতে পারে। কারণ এটি একটি প্রক্রিয়া যাতে ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনারা তো জেনে গিয়েছেন সহবাসের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়। চলুন এবার জেনে নেই গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি কি:
সময়মতো পিরিয়ড না হওয়া
সহবাসের পর প্রথম পিরিয়ড মিস হওয়া প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষণ। তবে সময় মত পিরিয়ড না হওয়ার অন্যান্য অনেক কারণ থাকতে পারে।
স্তনে সংবেদনশীলতা অনুভব করা
কোন নারীর গর্ভধারণ করলে তার লক্ষণ হিসেবে স্তনের সংবিধানশীলতা অর্থাৎ এর রঙের পরিবর্তন এবং সামান্য ব্যথা অনুভব হতে পারে।
সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়
ঘন ঘন প্রস্রাব করা
ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক লক্ষণ। এই সময়ে শরীরে অধিক পরিমাণে রক্ত উৎপাদিত হয় যার কারণে বেশি বেশি প্রস্রাব করার প্রয়োজন পড়ে।
স্তন ভারী হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা করা
একজন মহিলা শরীরের সবচাইতে বেশি পরিবর্তন ঘটে গর্ভাবস্তায়। এ সময়ের স্তন ভারী হয়ে যায় এবং কিছুটা ব্যথা হতে পারে। তবে এই সমস্যাটি আবার কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
জ্বর হওয়া
সারাদিন এবং সকাল বেলায় হালকা জ্বর এবং বমি হওয়া গর্ভাবস্থা অন্যতম একটা লক্ষণ।
মেজাজ এবং রুচির পরিবর্তন
সহবাসের কয়দিন পর গর্ভধারণ হয় সেটা জানার পাশাপাশি গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ গুলিও জানা উচিত। একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তার মেজাজ এবং খাদ্যাভ্যাস এর ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তার এমন কিছু খেতে ইচ্ছে করতে পারে যেগুলো দিনের সচরাচর খেতে চান না। এ সময় তার ঘ্রাণশক্তিরও পরিবর্তন হয়।
সেই সাথে মেজাজের পরিবর্তন তো আছে।
শেষ কথা
অনেক ক্ষেত্রেই একজন মহিলা গর্ভধারণের ঠিক কয়েকদিন পর থেকে লক্ষণ গুলি অনুভব করতে শুরু করেন। সহবাসের কতদিন পর গর্ভধারণ হয় সেটি বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।