মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা তৈরি
- আপডেট সময় : ১১:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তথ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান তৈরি করা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নথি যাচাই সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) এর সভাপতিত্বে এই সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা পেশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন বিকাল ৩ টায় উক্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতর্ম কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলা এর সভায় বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে এতে করে উক্ত মন্ত্রণালয়ের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিকভাবেও মুক্তিযোদ্ধারা বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারপর তিনি জানতে চান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা রয়েছে কিনা। কিন্তু সচিব জানান এমন কোন তালিকা তাদের কাছে নেই।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা তৈরি
তবে বাংলাদেশ জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই তালিকা পূরণ করা সম্ভব। তারপরে প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আছে মুক্তিযুদ্ধ ৩০ লাখ মানুষের। এটি শুধুমাত্র অপ্রচলিত কথা না হয়ে তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত। সেই সাথে ২ লাখ নারী সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। এটি এভাবে বলা ঠিক নয় কারণ নারীর সম্ভম কখনো বিনিময় হতে পারে না কারন এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মুক্তিযোদ্ধার কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকায় ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন মহলে নানা রকম আলোচনা এবং সমালোচনা হয়। আবার এমনও অভিযোগ রয়েছে প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযোদ্ধা হয়েও গ্যাজেটভুক্ত হতে পারেননি। তাই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন।
তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাই করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন যাচাই-বাছাই এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করার সহ সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
তারা যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেই আলোকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে। উক্ত কাউন্দসিলে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা বোর্ড আছে। সেই কাউন্সিলের বোর্ডের পুনর্গঠন সহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। সেই সাথে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প থাকলে সেগুলোকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা প্রণয়ন করে ভুয়া সার্টিফিকেট ধারীদের বের করে চাকরি বাতিল করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।