বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা
- আপডেট সময় : ১০:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে
জেনে নিন বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে তরুনরা বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিজেদেরকে মনোনিবেশ করছে। আবার অনেকে এমন কিছু পেশায় মনোনিবেশ করছে যেগুলো খুবই সুবিধাজনক এবং চিন্তা মুক্ত। নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে আপনার জন্য একটি উপযুক্ত পেশা বেছে নিন।
বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা
ব্যাংকিং সেক্টর
বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। সদ্য ইউনিভার্সিটি শেষ করা যুবকদের মধ্যে ব্যাংকে জব করার আগ্রহ অনেক বেশি। তাইতো এটি বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি প্রাইভেট ব্যাংক গুলোতে উত্তরা খুবই আগ্রহী হচ্ছে। এর কারণ মূলত আর্থিক সুবিধা এবং স্মার্ট চাকরি। প্রাইভেট ব্যাংক গুলোতে বেতন কাঠামো খুবই ভালো এবং এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
সরকারি ব্যাংক গুলোতে ভালো বেতনের পাশাপাশি পেনশন সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করে ব্যাংকিং সেক্টরে ক্যারিয়ার করা যায়।
যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় গুলোর চাহিদা যেরকম বাড়ছে ঠিক তেমনিভাবে এই সেক্টরে তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কম্পিউটার কিংবা এর সম্পর্কিত বিভাগে লেখা পড়া না করেও জেনারেল শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন কোর্স এবং ডিপ্লোমা করে এই বিভাগে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হচ্ছে।
শুধুমাত্র চাকরির ক্ষেত্রেই নয় বরং ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেক স্টুডেন্ট প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। অনেকেই ভাবেন আইসিটি বা কম্পিউটার সম্পর্কিত তো কাজ গুলোতে অংশগ্রহণ করার জন্য কম্পিউটার সাইন্স কিংবা আইসিটিতে গ্রাজুয়েট হতে হবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে পাশ করে আপনার দক্ষতা এবং যোগ্যতার সাপেক্ষে আপনি জব করতে পারবেন। তাইতো এটি আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশার মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে।
সেলস এবং মার্কেটিং
বিক্রয় এবং বিপণন এর জবটি বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা। যারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন এবং প্রচন্ড মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করতে পারেন তারা এই পেশায় আসতে পারেন।
যদিও মার্কেটিং, ফিনান্স, ব্যাংকিং, একাউন্টিং, বিবিএ এ সকল ডিপার্টমেন্ট থেকে সেলস এন্ড মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়া অনেক ভালো তবে যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকেই এই বিভাগে আসা যায়। ভবিষ্যতে প্রমোশনসহ ব্যাপক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই ডিপার্টমেন্টে।
মেডিকেল সাইন্স
ডাক্তার এবং ওষুধের চাহিদা মানুষের কখনো শেষ হয় নয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে মেডিকেল কলেজ নার্সিং কলেজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল প্রাইভেট ইত্যাদি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ডাক্তার এবং ফার্মাসিটিক্যাল এবং নার্স প্রয়োজন হয়।
এই পেশায় মানুষকে সরাসরি সেবা করার সুযোগ পাওয়া যায় বিধায় অনেকেই এটিকে পছন্দ করে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে। আবার চাকরি না করলেও এই বিভাগ থেকে ছোটখাটো বিজনেস করেও ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া
ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সাংবাদিকতা, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আমরা তো জানি ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে এ ধরনের পেশা এবং এই ধরনের কাজও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার লোকজন বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করার পাশাপাশি ঘরে বসেও বিভিন্ন ক্লাইন্টের কাজ করে টাকা ইনকাম করছে। তবে আপনি যদি এসকল সেক্টরের সরাসরি চাকরি করতে চান তাহলে কমপক্ষে অনার্স বা সমমান ডিগ্রির প্রয়োজন হবে।
আবার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রায় সকল জায়গায় শিথিলযোগ্য।
বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা
ইঞ্জিনিয়ারিং
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে উন্নত দেশ গড়তে ইঞ্জিনিয়ারদের বিকল্প নেই। কোন ইঞ্জিনিয়াররা দেশে চাকরি করার পাশাপাশি বিদেশে গিয়েও ভালো ভালো অবস্থান করে নিচ্ছে।
অতীতে বিভিন্ন বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং কাজকর্ম করার জন্য হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উপরে নির্ভর করতে হতো। বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে।
আর্কিটেকচার, মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপনি আপনার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার করতে পারেন।। বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশার মধ্যে এটি অন্যতম। ভালো বেতনের পাশাপাশি সামাজিক সম্মানও রয়েছে।
মানব সম্পদ বিভাগ
সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং তাদের তদারকি করার জন্য হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের প্রয়োজন হয়। কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী সকল প্রতিষ্ঠানে এইচ আর হিউম্যান রিসোর্সের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে এই বিভাগে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হতে হবে।
শিক্ষকতা
শিক্ষকতা পেশাটি সর্বকাল ধরেই শ্রেষ্ঠ।। বর্তমানে এর চাহিদা তো আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি স্কুল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষকতা বেশ সম্মানজনক। সেই সাথে বাড়তি আয়ের জন্য টিউশনি কিংবা ব্যাচ পড়ানো যায়।
আপনি যদি মানসিক চাপ না নিয়ে কিংবা আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সামাজিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চান তাহলে শিক্ষকতার পেশাটির সবচাইতে বেশি উপযোগী।
গার্মেন্টস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং
বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের অবদানের কথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানের একটি বড় উৎস গার্মেন্টস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী গার্মেন্টসে বিভিন্ন রকমের চাকরি পাওয়া যায়।। এই সকল পদের বেতন অনেক বেশি।
গার্মেন্টসের উৎপাদনের সাথে জড়িত সাধারণ একজন ম্যানেজারের বেতন কমপক্ষে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এনজিও তে চাকরি
আমাদের দেশে বুড়ো বাংলাদেশ, ব্রাক সহ অনেক ভালো ভালো এনজিও রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করছে।
অন্যান্য সরকারি চাকরির সুবিধার মতোই এনজিও তে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি এবং পেনশনের সুবিধা রয়েছে।
এছাড়া কোম্পানি নীতিমালা অনুযায়ী নানা রকম আর্থিক সুবিধার প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশার মধ্যে এটি অন্যতম।
এমপক্স কি এবং কীভাবে ছড়ায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।