প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। কারণ এই পরীক্ষাটিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত। আদালতে নির্দেশনা পেলে এই ধাপের পরীক্ষাটি বাতিল হতে পারে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের কে জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করব। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। যদিও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি বিগত সরকারের আমলে তেমন গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়নি। কারণ এতে করে সেই সময় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে বাতিল হতে পারে নিয়োগ।

জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ টি জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ২২ এপ্রিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ১৯৯ জন। আর এই পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্চ মাসের ২৯ তারিখ শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার সময় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারা জমানবন্দীও দিয়েছেন।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের কে বলেছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন পত্র ফাঁসে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা গত ২৫ শে এপ্রিল প্রশ্ন ফাঁসের সাথে নিজেদেরকে জড়িত বলে স্বীকার করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন কোন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এটাই স্বাভাবিক। যখনই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সামনে এসেছিল তখনই এটা নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত ছিল। তাৎক্ষণিক পরীক্ষা বাতিল করাও উচিত ছিল কিন্তু সেটা তারা করেননি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু শিক্ষার্থী নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। পুনরায় পরীক্ষা না হলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করে লাভ নেই বলেও তারা বলছেন। কারণ প্রতিবারই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে কিন্তু কোন সমাধান হয় না।

পাইলট হওয়ার যোগ্যতা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। কারণ এই পরীক্ষাটিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত। আদালতে নির্দেশনা পেলে এই ধাপের পরীক্ষাটি বাতিল হতে পারে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের কে জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করব। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। যদিও প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি বিগত সরকারের আমলে তেমন গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়নি। কারণ এতে করে সেই সময় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে বাতিল হতে পারে নিয়োগ।

জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ টি জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ২২ এপ্রিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ১৯৯ জন। আর এই পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্চ মাসের ২৯ তারিখ শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার সময় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারা জমানবন্দীও দিয়েছেন।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের কে বলেছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন পত্র ফাঁসে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা গত ২৫ শে এপ্রিল প্রশ্ন ফাঁসের সাথে নিজেদেরকে জড়িত বলে স্বীকার করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন কোন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এটাই স্বাভাবিক। যখনই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সামনে এসেছিল তখনই এটা নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত ছিল। তাৎক্ষণিক পরীক্ষা বাতিল করাও উচিত ছিল কিন্তু সেটা তারা করেননি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু শিক্ষার্থী নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। পুনরায় পরীক্ষা না হলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করে লাভ নেই বলেও তারা বলছেন। কারণ প্রতিবারই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে কিন্তু কোন সমাধান হয় না।

পাইলট হওয়ার যোগ্যতা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।