বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় পেনশন স্কিম থাকছে না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় পেনশন স্কিম থাকছে না

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সার্বজনীন প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। আজ ৩ আগস্ট শনিবার গণভবনে আয়োজিত এক সভা থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণ সংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের সাংবাদিকদের কে বলেন, সার্বজনীন প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সরানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রত্যাহার সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার পর পরই বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সই করা একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বা সমজাতীয় সকল সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যয় পেনশন স্কিম ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রত্যয় পেনশন স্কিমের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৪ সালের ৩০ শে জুনের আগের চাকরিতে যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী যুক্ত হয়েছেন তাদের নতুন সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪০৩ তিনটি স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়াত্ব এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ৯০ টিতে পেনশন ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু আছে। বাকি সকল প্রতিষ্ঠান গুলোতে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক টাকা পান কিন্তু কোন পেনশন সেবা পান না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় পেনশন স্কিম থাকছে না

জাতীয় পেনশন কর্তুপক্ষ প্রত্যয় পেনশন স্কিমের ব্যাপারে বলেছে, দেশের সকল জনগণকে একটি সু-গঠিত পেনশনের আওতায় আনতে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীরা।

২০২৪ সালের চলতি অর্থবছরে থেকে যারা এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চাকরিতে যোগদান করবে তাদের প্রত্যেকের আওতাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামলে সাম্প্রতিক সময়ে সেটি পুনরায় বাতিল ঘোষণা করা হয়।

সার্বজনীন পেনশন স্কিম এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল শ্রেণী এবং পেশার জনগোষ্ঠীকে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত আনা হয়েছে। দেশের অবস্থিত জনগণের পাশাপাশি প্রবাসীরাও চাইলে এ সকল পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত হতে পারবেন। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা প্রদান এবং সকল যাবতীয় সুবিধাজ ডিজিটাল মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এর টাকা পরিশোধ করা যাবে।

তারপর টাকা পরিশোধ হওয়ার পর নির্দিষ্ট বয়সের পরে সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সাধারণ জনগনও পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যেক পেনশন স্কিম বাতিল করা হয়েছে।

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় পেনশন স্কিম থাকছে না

আপডেট সময় : ০৬:১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

সার্বজনীন প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। আজ ৩ আগস্ট শনিবার গণভবনে আয়োজিত এক সভা থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণ সংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের সাংবাদিকদের কে বলেন, সার্বজনীন প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সরানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রত্যাহার সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার পর পরই বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সই করা একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বা সমজাতীয় সকল সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যয় পেনশন স্কিম ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রত্যয় পেনশন স্কিমের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৪ সালের ৩০ শে জুনের আগের চাকরিতে যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী যুক্ত হয়েছেন তাদের নতুন সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪০৩ তিনটি স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়াত্ব এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ৯০ টিতে পেনশন ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু আছে। বাকি সকল প্রতিষ্ঠান গুলোতে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক টাকা পান কিন্তু কোন পেনশন সেবা পান না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় পেনশন স্কিম থাকছে না

জাতীয় পেনশন কর্তুপক্ষ প্রত্যয় পেনশন স্কিমের ব্যাপারে বলেছে, দেশের সকল জনগণকে একটি সু-গঠিত পেনশনের আওতায় আনতে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। কিন্তু সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীরা।

২০২৪ সালের চলতি অর্থবছরে থেকে যারা এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চাকরিতে যোগদান করবে তাদের প্রত্যেকের আওতাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামলে সাম্প্রতিক সময়ে সেটি পুনরায় বাতিল ঘোষণা করা হয়।

সার্বজনীন পেনশন স্কিম এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল শ্রেণী এবং পেশার জনগোষ্ঠীকে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত আনা হয়েছে। দেশের অবস্থিত জনগণের পাশাপাশি প্রবাসীরাও চাইলে এ সকল পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত হতে পারবেন। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা প্রদান এবং সকল যাবতীয় সুবিধাজ ডিজিটাল মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এর টাকা পরিশোধ করা যাবে।

তারপর টাকা পরিশোধ হওয়ার পর নির্দিষ্ট বয়সের পরে সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সাধারণ জনগনও পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রত্যেক পেনশন স্কিম বাতিল করা হয়েছে।

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।