ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাধারণ বিজ্ঞানের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না হলেও এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর আমরা স্কুলে থাকতে সবাই পড়েছি।

বৈশিষ্ট্যের উপরে ভিত্তি করে মৌলিক পদার্থকে মূলত ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার একটি হচ্ছে ধাতু এবং অপরটি হচ্ছে অধাতু।

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে?

ধাতু: যে সকল মৌলিক পদার্থের পরমাণু গুলোর শেষ কক্ষপথে ১,২,৩ টি করে ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে ধাতু বলা হয়।

অধাত: যে সকল মৌলিক পদার্থের পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে সর্বনিম্ন ৫ টি থেকে সর্বোচ্চ ৮ টি ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে অধাতু বলা হয়।

আপনারা তো জানলেন ধাতু ও অধাতু কাকে বলে। এবার চলুন জেনে নেই ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি।

১. ধাতু ও অধাতুর মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে ধাতু দেখতে চকচকে হয় কিন্তু অধাতু গুলো চকচকে হয় না। যেমন স্টিল একটি ধাতু এটি দেখতে চকচকে এবং উজ্জ্বল। কিন্তু কাঠ একটি অধাতু তাই এটি চকচকে হয় না।

২. ধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন আওয়াজ করে। কিন্তু অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন আওয়াজ করে না। যেমন স্টিল কে আঘাত করলে আপনি একটি শব্দ শুনতে পাবেন কিন্তু কাঠ কিংবা প্লাস্টিকে আঘাত করলে সেই শব্দ শুনতে পাবেন না।

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি

৩. ধাতু ও অধাতুর মধ্যে ও পার্থক্য গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং অধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

৪. ধাতু তাপ পরিবহন করে কিন্তু অথচ অধাতু তাপ পরিবহন করে না।

ধাতু ও অধাতুর পার্থক্য গুলির মধ্যে কিছু রাসায়নিক পার্থক্য:

৫. ধাতু অক্সাইড ক্ষারীয় ধর্মী কিন্তু অধাতুর অক্সাইড অম্লীয় ধর্মী।

৬. ধাতু একটি উত্তম বিজারক কিন্তু অধাতু উত্তম বিজারক নয়।

৭. ধাতু ও অধাতুর পার্থক্য গুলির মধ্যে অন্যতম আরেকটি হচ্ছে এদের গলনাঙ্ক। ধাতুর বৈশিষ্ট্য দিক থেকে অত্যন্ত শক্ত হয় এর গলনাঙ্ক বেশি। অর্থাৎ ধাতুকে তরলের রূপান্তর করতে অনেক বেশি তাপ প্রয়োগ করতে হয়। আবার অধাতুর তুলনায় নরম প্রকৃতির হয় এর গলনাঙ্ক কম অর্থাৎ অল্প তাপ প্রয়োগ করে তরলে রূপান্তর করা যায়।

ধাতু ও অধাতু নিয়ে আরো কিছু কথা:

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধাতু ও অধাতুর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। আমাদের আশেপাশের এমন কোন কাজ নেই যেটি এই দুইটি উপাদান ছাড়া সম্পন্ন হয়। বাসার বৈদ্যুতিক লাইন থেকে শুরু করে যে কোন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে ধাতুর ব্যবহার রয়েছে। অন্যদিকে আসবাবপত্র ফার্নিচার ইত্যাদিতে ব্যাপক হারে অধাতুর ব্যবহার করা হয়। ধাতুর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি এবং অত্যন্ত শক্ত হওয়ায় এর ব্যবহারও ব্যাপক।

আশা করি আপনারা ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য গুলি বুঝতে পেরেছেন। স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় এই টপিক্স থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।

ইরাকে মেয়েদের বিয়ের বয়স ৯ বছর বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি

আপডেট সময় : ১১:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

সাধারণ বিজ্ঞানের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না হলেও এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর আমরা স্কুলে থাকতে সবাই পড়েছি।

বৈশিষ্ট্যের উপরে ভিত্তি করে মৌলিক পদার্থকে মূলত ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার একটি হচ্ছে ধাতু এবং অপরটি হচ্ছে অধাতু।

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে?

ধাতু: যে সকল মৌলিক পদার্থের পরমাণু গুলোর শেষ কক্ষপথে ১,২,৩ টি করে ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে ধাতু বলা হয়।

অধাত: যে সকল মৌলিক পদার্থের পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে সর্বনিম্ন ৫ টি থেকে সর্বোচ্চ ৮ টি ইলেকট্রন থাকে তাদেরকে অধাতু বলা হয়।

আপনারা তো জানলেন ধাতু ও অধাতু কাকে বলে। এবার চলুন জেনে নেই ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি।

১. ধাতু ও অধাতুর মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে ধাতু দেখতে চকচকে হয় কিন্তু অধাতু গুলো চকচকে হয় না। যেমন স্টিল একটি ধাতু এটি দেখতে চকচকে এবং উজ্জ্বল। কিন্তু কাঠ একটি অধাতু তাই এটি চকচকে হয় না।

২. ধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন আওয়াজ করে। কিন্তু অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন আওয়াজ করে না। যেমন স্টিল কে আঘাত করলে আপনি একটি শব্দ শুনতে পাবেন কিন্তু কাঠ কিংবা প্লাস্টিকে আঘাত করলে সেই শব্দ শুনতে পাবেন না।

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য কি

৩. ধাতু ও অধাতুর মধ্যে ও পার্থক্য গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং অধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

৪. ধাতু তাপ পরিবহন করে কিন্তু অথচ অধাতু তাপ পরিবহন করে না।

ধাতু ও অধাতুর পার্থক্য গুলির মধ্যে কিছু রাসায়নিক পার্থক্য:

৫. ধাতু অক্সাইড ক্ষারীয় ধর্মী কিন্তু অধাতুর অক্সাইড অম্লীয় ধর্মী।

৬. ধাতু একটি উত্তম বিজারক কিন্তু অধাতু উত্তম বিজারক নয়।

৭. ধাতু ও অধাতুর পার্থক্য গুলির মধ্যে অন্যতম আরেকটি হচ্ছে এদের গলনাঙ্ক। ধাতুর বৈশিষ্ট্য দিক থেকে অত্যন্ত শক্ত হয় এর গলনাঙ্ক বেশি। অর্থাৎ ধাতুকে তরলের রূপান্তর করতে অনেক বেশি তাপ প্রয়োগ করতে হয়। আবার অধাতুর তুলনায় নরম প্রকৃতির হয় এর গলনাঙ্ক কম অর্থাৎ অল্প তাপ প্রয়োগ করে তরলে রূপান্তর করা যায়।

ধাতু ও অধাতু নিয়ে আরো কিছু কথা:

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধাতু ও অধাতুর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। আমাদের আশেপাশের এমন কোন কাজ নেই যেটি এই দুইটি উপাদান ছাড়া সম্পন্ন হয়। বাসার বৈদ্যুতিক লাইন থেকে শুরু করে যে কোন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে ধাতুর ব্যবহার রয়েছে। অন্যদিকে আসবাবপত্র ফার্নিচার ইত্যাদিতে ব্যাপক হারে অধাতুর ব্যবহার করা হয়। ধাতুর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি এবং অত্যন্ত শক্ত হওয়ায় এর ব্যবহারও ব্যাপক।

আশা করি আপনারা ধাতু ও অধাতু কাকে বলে এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য গুলি বুঝতে পেরেছেন। স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় এই টপিক্স থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।

ইরাকে মেয়েদের বিয়ের বয়স ৯ বছর বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।