ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিল ভারত বাংলাদেশের ঢুকছে পানি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিল ভারত

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিয়েছে ভারত। আর এখন পর্যন্ত সেখানে ৭ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সাথে আরো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তারপর থেকেই বাংলাদেশে হু হু করে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের মাধ্যমে জানা যায়, ত্রিপুরার বাঁধ অর্থাৎ ডুমুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম বার খুলে দেওয়া হয়েছে। যেদিকে রাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভিতরে উল্লেখযোগ্য বলে অভিহিত করা যায়।

ত্রিপুরায় ৪ টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে এখন প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবার। অবিরাম বৃষ্টির বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং পানির স্তর বেড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রায় ৩১ বছর পরে বাঁধ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডুমুর জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ত্রিপুরা বাধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে এবং সমতল ভূমির পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

কৃষিজমি আবাসিক এলাকা গুলোসহ বেশিরভাগ এলাকায় এখন পানির নিচে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। হাজার হাজার বাসিন্দা পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিল ভারত বাংলাদেশের ঢুকছে পানি

যে নদীর উপর ত্রিপুরায় বাঁধ অবস্থিত সেটি প্রবাহিত হয়ে হাওড়া নদী বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, মৌলভীবাজারের ধলাই নদী এবং ফেনী জেলায় খোয়াই নদী হয়ে প্রবেশ করেছে।

এদিকে ত্রিপুরার খোয়াইয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘোষণা দিয়েছেন পানির বিপদসীমা দিয়ে উপর দিয়ে করায় জেলার দুটি মহাকুমা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীতে মাছ ধরা এড়িয়ে চলতে বলেছেন এবং ভূমিধসের হাত থেকে বাঁচার জন্য দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

ভারত থেকে বিবিসি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে সে সাথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক।

এদিকে বাংলাদেশের ফেনী জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পর এরকম বন্যা আগে কখনো হয়নি। উক্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পোস্টকার্ড নিয়োজিত আছেন। বন্যা পানিতে আটকে পড়ে মানুষদের দ্বারা উদ্ধার করছেন।

এদিকে আবহাওয়ার সংবাদে আরো বলা হয়েছে আগামী বেশ কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। যার কারনে সুন্দর করা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিল ভারত বাংলাদেশের ঢুকছে পানি

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

টানা বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিয়েছে ভারত। আর এখন পর্যন্ত সেখানে ৭ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সাথে আরো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তারপর থেকেই বাংলাদেশে হু হু করে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের মাধ্যমে জানা যায়, ত্রিপুরার বাঁধ অর্থাৎ ডুমুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম বার খুলে দেওয়া হয়েছে। যেদিকে রাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভিতরে উল্লেখযোগ্য বলে অভিহিত করা যায়।

ত্রিপুরায় ৪ টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে এখন প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবার। অবিরাম বৃষ্টির বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং পানির স্তর বেড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রায় ৩১ বছর পরে বাঁধ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডুমুর জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ত্রিপুরা বাধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে এবং সমতল ভূমির পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

কৃষিজমি আবাসিক এলাকা গুলোসহ বেশিরভাগ এলাকায় এখন পানির নিচে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। হাজার হাজার বাসিন্দা পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

ত্রিপুরায় বাধ খুলে দিল ভারত বাংলাদেশের ঢুকছে পানি

যে নদীর উপর ত্রিপুরায় বাঁধ অবস্থিত সেটি প্রবাহিত হয়ে হাওড়া নদী বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, মৌলভীবাজারের ধলাই নদী এবং ফেনী জেলায় খোয়াই নদী হয়ে প্রবেশ করেছে।

এদিকে ত্রিপুরার খোয়াইয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘোষণা দিয়েছেন পানির বিপদসীমা দিয়ে উপর দিয়ে করায় জেলার দুটি মহাকুমা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীতে মাছ ধরা এড়িয়ে চলতে বলেছেন এবং ভূমিধসের হাত থেকে বাঁচার জন্য দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।

ভারত থেকে বিবিসি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে সে সাথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক।

এদিকে বাংলাদেশের ফেনী জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পর এরকম বন্যা আগে কখনো হয়নি। উক্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পোস্টকার্ড নিয়োজিত আছেন। বন্যা পানিতে আটকে পড়ে মানুষদের দ্বারা উদ্ধার করছেন।

এদিকে আবহাওয়ার সংবাদে আরো বলা হয়েছে আগামী বেশ কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। যার কারনে সুন্দর করা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।