ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান
- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পদের বদল হয়েছে। এরে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান। তার পূর্বে উক্ত পদে মেজর জেনারেল হামিদুল হক দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ১২ আগস্ট সোমবার বাংলাদেশ আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর এর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণাটি দেওয়া হয়।
আইএসপিআর কর্তৃপক্ষ জানান, ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক ফয়জুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করা ছাড়াও মেজর জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজকে ঢাকায় মিরপুরে অবস্থিত সেনানিবাসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক হিসেবে মেজর জেনারেল আব্দুল মোত্তালেব সাজ্জাদ মাহমুদ কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২৩ তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে কমিশন লাভ করেন। এর আগে তিনি মিরপুরে অবস্থিত ডিফেন্স সার্ভিস কলেজ কমান্ড্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে তিনি রংপুর জেলা ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন।
এছাড়াও এমআইএসটি এর নতুন কমান্ডের মেজর জেনারেল নাসিম পারবে এর আগে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের বিআইপিএসওটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধের ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক পটভূমিতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রতিরক্ষা বাহিনীরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বেশ রদবদল হয়েছে। নতুন করে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান।
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা জানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের বেশ অস্থিতিশীল এবং সহিংস পরিবেশ বিরাজ করেছে।
বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি এবং থানা ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য দায়ী করে অধীনস্থ কর্মকর্তারা বিক্ষোভ এবং কর্মবিরতি পালন করেছে। পুলিশদের ক্ষমতায় পালন করায় জনমাল নিরাপত্তা এবং রাস্তা ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল।
কিন্তু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করে আসছে। সেই সাথে সেনাবাহিনীর সহযোগিতাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে ইতিমধ্য পুলিশের ১১ দফা দাবি উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে তারা আবার কর্মে ফিরেছে। তাদের দাবি গুলোর মধ্যেও বেশ কয়েকটি তাৎক্ষণিকভাবে এবং বাকি দাবি গুলো পূরণের জন্য বেশ কিছুদিন সময় নেওয়া হয়েছে।