চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে

চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রব্যমূলের উর্ধগতিতে জনজীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সাধারণ খাদ্যদ্রব্য এবং জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন কে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছিল।

এইতো অল্প কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দামের বৃদ্ধি ও পরিলক্ষিত করা গিয়েছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিনির দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অল্প কিছুদিন আগেও খুচরা বাজারে যে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে বর্তমানে সেই চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা।

বাংলাদেশ চিনি বিক্রয় ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চিনির দাম কমার ব্যাপারে তিনি জানান আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে এবং খুচরা এবং পাইকারি উভয় বাজারেই চিনির দাম কমেছে।

চিনি ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বর্তমান সময়ের চট্টগ্রামে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চিনি ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির ভেদে। গত ৬ আগস্টের পর থেকেই চিনির দাম কেজিতে কমা শুরু হয়েছে।

চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

এর আগে পাইকারি চিনি কেজি প্রতির দাম ছিল ১২২ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে সরকারি মিল গেটে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ টাকা করে। এই দাম অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে একই রকম আছে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমেছে।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খুচরা চিনির দাম আরো অনেক বেশি কমা উচিত ছিল।

বাংলাদেশে প্রতিবছর চিনির চাহিদা হয় ১৭ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এক সময় সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন প্রায় ১৭ টি কারখানায় চিনি উৎপাদন করতো। কিন্তু সে চিনি উৎপাদন কমে গিয়ে এখন মাত্র ৮ থেকে ৯ টি মিলে চিনি উৎপাদন করা হচ্ছে।

সে হিসেবে বলা যায় আগে যেখানে এসব মিলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন করে চিনি উৎপাদন করা হতো শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই সেখানে বর্তমানে গড়ে চিনি উদ্বোধন হচ্ছে মাত্র ৩২ হাজার মেট্রিক টন করে।

দেশের অভ্যন্তরে এই উৎপাদনের পরিমাণ কমলে মানুষের চাহিদা কিন্তু কমেনি। যার কারণে চীনের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়। এজন্যই বিগত কয়েক বছর ধরে চীনের দাম শুধুমাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রতি কেজি চিনিতে ১০ টাকা করে গড়ে কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

দ্রব্যমূলের উর্ধগতিতে জনজীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সাধারণ খাদ্যদ্রব্য এবং জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন কে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছিল।

এইতো অল্প কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দামের বৃদ্ধি ও পরিলক্ষিত করা গিয়েছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিনির দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অল্প কিছুদিন আগেও খুচরা বাজারে যে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে বর্তমানে সেই চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা।

বাংলাদেশ চিনি বিক্রয় ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চিনির দাম কমার ব্যাপারে তিনি জানান আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে এবং খুচরা এবং পাইকারি উভয় বাজারেই চিনির দাম কমেছে।

চিনি ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বর্তমান সময়ের চট্টগ্রামে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চিনি ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির ভেদে। গত ৬ আগস্টের পর থেকেই চিনির দাম কেজিতে কমা শুরু হয়েছে।

চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

এর আগে পাইকারি চিনি কেজি প্রতির দাম ছিল ১২২ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে সরকারি মিল গেটে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ টাকা করে। এই দাম অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে একই রকম আছে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমেছে।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খুচরা চিনির দাম আরো অনেক বেশি কমা উচিত ছিল।

বাংলাদেশে প্রতিবছর চিনির চাহিদা হয় ১৭ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এক সময় সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন প্রায় ১৭ টি কারখানায় চিনি উৎপাদন করতো। কিন্তু সে চিনি উৎপাদন কমে গিয়ে এখন মাত্র ৮ থেকে ৯ টি মিলে চিনি উৎপাদন করা হচ্ছে।

সে হিসেবে বলা যায় আগে যেখানে এসব মিলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন করে চিনি উৎপাদন করা হতো শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই সেখানে বর্তমানে গড়ে চিনি উদ্বোধন হচ্ছে মাত্র ৩২ হাজার মেট্রিক টন করে।

দেশের অভ্যন্তরে এই উৎপাদনের পরিমাণ কমলে মানুষের চাহিদা কিন্তু কমেনি। যার কারণে চীনের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়। এজন্যই বিগত কয়েক বছর ধরে চীনের দাম শুধুমাত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রতি কেজি চিনিতে ১০ টাকা করে গড়ে কমেছে।