খাঁটি সোনা চেনার উপায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

খাঁটি সোনা চেনার উপায়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে যদি কোন গিফটের আলোচনা হয় তাহলে সবার আগে প্রাধান্য পায় সোনার গহনা। কিন্তু খাঁটি সোনা চেনার উপায় গুলি না জানা থাকার কারণে আমরা অনেক সময় প্রতারণার শিকার হই।

সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। সারা পৃথিবীতেই ব্যাপক হারে সোনার তৈরি গহনা এবং নানা জিনিসপত্র কেনাবেচা হয়ে থাকে। তাই এই পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। অনেক বিক্রেতারাই গ্রাহকদেরকে প্রতারণা করে নকল শোনার গহনা বিক্রি করে।

শুধুমাত্র দেখে কিংবা হাত দিয়ে ধরে সোনা আসল নাকি নকল সেটা যাচাই করা বেশ কঠিন। সাধারণত ১০ ক্যারেটের কম সোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নকল বলে পাওয়া যায়।

খাঁটি সোনা চেনার ঘরোয়া উপায়

চুম্বক দিয়ে পরীক্ষা

আপনি যদি সোনা আসল না নকল সেটির যাচাই করতে চান তাহলে একটি শক্তিশালী চুম্বক নিন।। এই চুম্বক দিয়ে আপনি খুব সহজেই যাচাই করতে পারবেন সোনাটি আসল না নকল। খাদ মেশানো কিংবা নকল সোনাকে চুম্বক কখনো আকর্ষণ করে না।

চুম্বক যেহেতু আমাদের হাতের কাছে সব সময় পাওয়া যায় তাই এটি দিয়ে পরীক্ষা করাবে সুবিধা জনক। এছাড়াও সোনাতে সাধারণত মরিচা ধরে না তাই আপনি যদি মরিচা বা এ ধরনের কোন কিছু দেখতে পান তাহলে সেটি আসল শোনা নয়।

হলমার্ক দেখে নিন

খাঁটি সোনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হলমার্ক সার্টিফিকেট থাকবে। যদি হলমার্ক সার্টিফিকেট বা নাম্বার থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন সোনাটি আসল। এছাড়াও অবশ্য বাজারে হলমার্ক ছাড়াও খাঁটি সোনা কিনতে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে খাঁটি সোনা চেনার উপায় গুলি অবলম্বন করে যাচাই করে নিন।

ফ্লোট টেস্ট

সোনা এক ধরনের ধাতব পদার্থ এবং শক্ত। তাই খাঁটি সোনা কিংবা আসল সোনা চেনার জন্য এর ঘনত্ব পরীক্ষা করতে পারেন।

এর জন্য প্রথমে এক বালতি পানি নিয়ে সেটাতে আপনার সোনার গয়না বা সোনা গুলি ফেলুন। যদি এটি আসল সোনা বা ঘাঁটি সোনা হয়ে থাকে তাহলে পানিতে ডুবে যাবে। যদি সেটি পানিতে ভেসে থাকে তাহলে অবশ্যই নকল।

ছোট ছোট সোনার গহনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচিত জুয়েলার্স এর দোকানে যাবেন। কারণ ছোট গয়না গুলোর ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি প্রতারণা ঘটে থাকে।

খাঁটি সোনা চেনার উপায়

এসিড দিয়ে টেস্ট

খাঁটি সোনার চেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এসিড দিয়ে টেস্ট করা। খাঁটি সোনা বা আসল সোনা কখনোই নাইট্রিক এসিডের সাথে বিক্রয় করে না।

কিন্তু নাইট্রিক এসিড, তামা, দস্তা, স্টিয়ারিং, সিলভার ইত্যাদি পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে। তাই আপনার সোনা কিংবা গয়নার উপরে অল্প পরিমাণে নাইট্রিক এসিড দিতে পারেন। সোনা যদি নকল হয় তাহলে বিক্রি করবেন।

আর যদি এই সোনার যে স্থানে নাইট্রিক এসিড দিয়েছেন সেখানে যদি সবুজ রঙের হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন এটি নকল সোনা।

ভিনেগার দিয়ে পরীক্ষা

আমাদের সবার ঘরেই ভিনেগার থাকে। কারণ রান্না এবং বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যাপকভাবে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়।

আপনি যেই সোনা বা গহনা পরীক্ষা করতে চান সেটার উপর কয়েক ফোটা ভিনেগার দিন। যদি রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে সেটি আসল সোনা নয়।

আশা করি খাঁটি সোনা চেনার উপায় বা নকল সোনা যাচাই করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনে গিয়েছেন। যেকোনো ধরনের স্বর্ণালঙ্কার লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

গীবত কি এবং কাকে বলে বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খাঁটি সোনা চেনার উপায়

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে যদি কোন গিফটের আলোচনা হয় তাহলে সবার আগে প্রাধান্য পায় সোনার গহনা। কিন্তু খাঁটি সোনা চেনার উপায় গুলি না জানা থাকার কারণে আমরা অনেক সময় প্রতারণার শিকার হই।

সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। সারা পৃথিবীতেই ব্যাপক হারে সোনার তৈরি গহনা এবং নানা জিনিসপত্র কেনাবেচা হয়ে থাকে। তাই এই পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। অনেক বিক্রেতারাই গ্রাহকদেরকে প্রতারণা করে নকল শোনার গহনা বিক্রি করে।

শুধুমাত্র দেখে কিংবা হাত দিয়ে ধরে সোনা আসল নাকি নকল সেটা যাচাই করা বেশ কঠিন। সাধারণত ১০ ক্যারেটের কম সোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নকল বলে পাওয়া যায়।

খাঁটি সোনা চেনার ঘরোয়া উপায়

চুম্বক দিয়ে পরীক্ষা

আপনি যদি সোনা আসল না নকল সেটির যাচাই করতে চান তাহলে একটি শক্তিশালী চুম্বক নিন।। এই চুম্বক দিয়ে আপনি খুব সহজেই যাচাই করতে পারবেন সোনাটি আসল না নকল। খাদ মেশানো কিংবা নকল সোনাকে চুম্বক কখনো আকর্ষণ করে না।

চুম্বক যেহেতু আমাদের হাতের কাছে সব সময় পাওয়া যায় তাই এটি দিয়ে পরীক্ষা করাবে সুবিধা জনক। এছাড়াও সোনাতে সাধারণত মরিচা ধরে না তাই আপনি যদি মরিচা বা এ ধরনের কোন কিছু দেখতে পান তাহলে সেটি আসল শোনা নয়।

হলমার্ক দেখে নিন

খাঁটি সোনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হলমার্ক সার্টিফিকেট থাকবে। যদি হলমার্ক সার্টিফিকেট বা নাম্বার থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন সোনাটি আসল। এছাড়াও অবশ্য বাজারে হলমার্ক ছাড়াও খাঁটি সোনা কিনতে পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে খাঁটি সোনা চেনার উপায় গুলি অবলম্বন করে যাচাই করে নিন।

ফ্লোট টেস্ট

সোনা এক ধরনের ধাতব পদার্থ এবং শক্ত। তাই খাঁটি সোনা কিংবা আসল সোনা চেনার জন্য এর ঘনত্ব পরীক্ষা করতে পারেন।

এর জন্য প্রথমে এক বালতি পানি নিয়ে সেটাতে আপনার সোনার গয়না বা সোনা গুলি ফেলুন। যদি এটি আসল সোনা বা ঘাঁটি সোনা হয়ে থাকে তাহলে পানিতে ডুবে যাবে। যদি সেটি পানিতে ভেসে থাকে তাহলে অবশ্যই নকল।

ছোট ছোট সোনার গহনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচিত জুয়েলার্স এর দোকানে যাবেন। কারণ ছোট গয়না গুলোর ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি প্রতারণা ঘটে থাকে।

খাঁটি সোনা চেনার উপায়

এসিড দিয়ে টেস্ট

খাঁটি সোনার চেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এসিড দিয়ে টেস্ট করা। খাঁটি সোনা বা আসল সোনা কখনোই নাইট্রিক এসিডের সাথে বিক্রয় করে না।

কিন্তু নাইট্রিক এসিড, তামা, দস্তা, স্টিয়ারিং, সিলভার ইত্যাদি পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে। তাই আপনার সোনা কিংবা গয়নার উপরে অল্প পরিমাণে নাইট্রিক এসিড দিতে পারেন। সোনা যদি নকল হয় তাহলে বিক্রি করবেন।

আর যদি এই সোনার যে স্থানে নাইট্রিক এসিড দিয়েছেন সেখানে যদি সবুজ রঙের হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন এটি নকল সোনা।

ভিনেগার দিয়ে পরীক্ষা

আমাদের সবার ঘরেই ভিনেগার থাকে। কারণ রান্না এবং বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যাপকভাবে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়।

আপনি যেই সোনা বা গহনা পরীক্ষা করতে চান সেটার উপর কয়েক ফোটা ভিনেগার দিন। যদি রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে সেটি আসল সোনা নয়।

আশা করি খাঁটি সোনা চেনার উপায় বা নকল সোনা যাচাই করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনে গিয়েছেন। যেকোনো ধরনের স্বর্ণালঙ্কার লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

গীবত কি এবং কাকে বলে বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।