কোটা আন্দোলন সম্পর্কিত সকল আপডেট
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে
সরকারি চাকরি গুলোতে কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটা আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং চাকরির প্রত্যাশীরা। উক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ১০ জুলাই বুধবার বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এটি তাদের লাগাতার কর্মসূচি গুলোর একটি অংশ।
এদিকে কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহান সংক্রান্ত যে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল সেটি স্থগিত চেয়ে রিট করা হবে আজ। শিক্ষার্থী এবং রাষ্ট্রপক্ষের করা অ্যাপ্লিকেশনের ভিত্তিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
কোটা আন্দোলন সংক্রান্ত সকল আপডেট
• সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়টি আপিল বিভাগ স্থগিত করে দিয়েছে। ১০ জুলাই বুধবার সকাল ১১ টার দিকে শুনানি শেষে আপিল বিভাগের রায় প্রদান করেন।
• বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে কোটা আন্দোলন সমর্থনকারী শিক্ষার্থীরা। জামালপুরের তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করছেন তারা।
• কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে উক্ত এলাকায় বেশ যানজট দেখা দিয়েছে।
কোটা আন্দোলন সম্পর্কিত সকল আপডেট
• শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ছাড়াও তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি গুলোতেও কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। এ ব্যাপারে যদি কোর্টে অর্ডার হয় তাহলে আন্দোলন থেকে সরবে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়টি জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজদিস আলম।
• শত শত শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীরা আজ সকাল ১০ টা থেকে রাজধানীর সাইন্স ল্যাব মোড়ে অবরোধ করেছেন। এতে করে এখন ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ আছে।
• হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহালের বিষয়ের রায় দিয়েছিল সেটি স্থগিতের আবেদনের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হয়েছে ঢাকার সাইন্স ল্যাব মোর এলাকা থেকে। সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং চাকরির প্রত্যাশীরা আন্দোলনে নামলে সড়ক গুলোতে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। অবরোধকারীদের ঘোষণা অনুযায়ী তারা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সড়ক পথ অবরোধ রাখবেন। এর পাশাপাশি তারা সাধারণ জনগণকেও তাদের সাথে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নিয়ম তান্ত্রিকভাবে আমাদের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালন করছে। আমাদের এই আন্দোলনের ফলে সাধারণ জনগণের যে কষ্ট এবং ভোগান্তি হচ্ছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তবে এর দায়ভার অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে। কারণ এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের করে বিষয়টি সমাধানের কোন চেষ্টা করেনি।