কম বয়সে স্ট্রোক হয় কেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কেন

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইদানিং আমাদের আশেপাশে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে। এটি মস্তিষ্কের এক ধরনের জটিল রোগ। এর ফলে মানুষের মৃ ত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যারা বেঁচে যান তারা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগতে পারেন। সুতরাং কম বয়সে কেনো স্ট্রোক হয় কিংবা এর কারণ গুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি।

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কি?

কিছুদিন আগেও ধারণা ছিল স্ট্রোক শুধুমাত্র বয়স্কদের ক্ষেত্রেই হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল, ধূমপান এই কারণ গুলি স্ট্রোকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এসমস্যা গুলি আগের দিনের শুধুমাত্র বয়স্ক লোকদের হত যার কারণে স্ট্রোকও বয়স্ক লোকদের হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ ধারণার পরিবর্তিত হয়েছে। এখন কম বয়সের স্ট্রোক হওয়ার ঘটনা অনেক।

কম বয়সের স্ট্রোক হওয়ার কারণ

এটি সাধারণত ২ প্রকার হয়। প্রথম হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা এবং অপরটি হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্তপাত হওয়া।

দুই প্রকারের কারণ ও ভিন্ন ভিন্ন।

যেমন মস্তিষ্কে রক্ত বেধে স্ট্রোক হয়, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ কোলেস্টেরল এবং ধূমপানের কারণে। এখনকার যুগে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের এই ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কেন

আবার কিছু ধরনের রোগ আছে যেগুলোর কারণে আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেধে চায়। এই ধরনেররোগ গুলোর সাধারণত জন্মগত এবং বংশগত হতে পারে। অল্প বয়সে এ সকল রোগ প্রকাশ পায়।

কম বয়সের স্ট্রোক এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যে স্ট্রোক হয় সেটা মূলত অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়ে থাকে। আবার মাদক সেবনের কারণে হয়ে থাকে।

স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবেন

এর প্রথম লক্ষণ হচ্ছে শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। অর্থাৎ সার্বিক চলাফেরা করতে অসুবিধা হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী চোখে কম দেখেন এবং হাত-পা একদমই দুর্বল হয়ে যায়।

এই রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কথা বলতে সমস্যা হওয়া।। হঠাৎ করে যদি কথা বলতে সমস্যা হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন যে স্ট্রোক হতে পারে। এমতাবস্থায় দেরি না করে ওদের দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

স্ট্রোক হওয়ার কারণ বা কম বয়সে স্ট্রোক করার কারণ অনেক। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত মানসিক টেনশন ইত্যাদি কারণেও স্ট্রোক হতে পারে। তাই আপনার কিংবা আশেপাশের কারো যদি স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কেন

আপডেট সময় : ০৪:১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

ইদানিং আমাদের আশেপাশে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে। এটি মস্তিষ্কের এক ধরনের জটিল রোগ। এর ফলে মানুষের মৃ ত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যারা বেঁচে যান তারা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগতে পারেন। সুতরাং কম বয়সে কেনো স্ট্রোক হয় কিংবা এর কারণ গুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি।

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কি?

কিছুদিন আগেও ধারণা ছিল স্ট্রোক শুধুমাত্র বয়স্কদের ক্ষেত্রেই হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল, ধূমপান এই কারণ গুলি স্ট্রোকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এসমস্যা গুলি আগের দিনের শুধুমাত্র বয়স্ক লোকদের হত যার কারণে স্ট্রোকও বয়স্ক লোকদের হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ ধারণার পরিবর্তিত হয়েছে। এখন কম বয়সের স্ট্রোক হওয়ার ঘটনা অনেক।

কম বয়সের স্ট্রোক হওয়ার কারণ

এটি সাধারণত ২ প্রকার হয়। প্রথম হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা এবং অপরটি হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্তপাত হওয়া।

দুই প্রকারের কারণ ও ভিন্ন ভিন্ন।

যেমন মস্তিষ্কে রক্ত বেধে স্ট্রোক হয়, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ কোলেস্টেরল এবং ধূমপানের কারণে। এখনকার যুগে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের এই ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে

কম বয়সে স্ট্রোক হয় কেন

আবার কিছু ধরনের রোগ আছে যেগুলোর কারণে আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেধে চায়। এই ধরনেররোগ গুলোর সাধারণত জন্মগত এবং বংশগত হতে পারে। অল্প বয়সে এ সকল রোগ প্রকাশ পায়।

কম বয়সের স্ট্রোক এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যে স্ট্রোক হয় সেটা মূলত অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়ে থাকে। আবার মাদক সেবনের কারণে হয়ে থাকে।

স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবেন

এর প্রথম লক্ষণ হচ্ছে শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। অর্থাৎ সার্বিক চলাফেরা করতে অসুবিধা হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী চোখে কম দেখেন এবং হাত-পা একদমই দুর্বল হয়ে যায়।

এই রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কথা বলতে সমস্যা হওয়া।। হঠাৎ করে যদি কথা বলতে সমস্যা হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন যে স্ট্রোক হতে পারে। এমতাবস্থায় দেরি না করে ওদের দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

স্ট্রোক হওয়ার কারণ বা কম বয়সে স্ট্রোক করার কারণ অনেক। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত মানসিক টেনশন ইত্যাদি কারণেও স্ট্রোক হতে পারে। তাই আপনার কিংবা আশেপাশের কারো যদি স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।