এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন
- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্থগিত হয়েছিল এইচএসসি পরীক্ষার সহ সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। তার কিছুদিন পরেই গত ২০ শে আগস্ট ঘোষণা হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল। অর্থাৎ যে কয়টি স্থগিত পরীক্ষা রয়েছে এইচএসসি ও সমমানের সেগুলো আর হবে না।
এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের ১৮ তলার উপরে উঠে যান। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার বাতিলের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সে বাতিল পরীক্ষা ফিরাতে আবার আন্দোলন করছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে বাতিলের সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে। যেটি কলেজের ছাত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আরও বলেন বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন করা হয়েছিল সুষ্ঠু মেধা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। যার কারণে পরীক্ষা না দিয়ে পরিশ্রমী এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।
সেই সাথে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানের দাবিতে তারা আরো বলেন, দেশের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ আয়োজন করতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন
তাছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে ২০২৪ সালের এইচএসসি ব্যাচের যে সকল শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করে চিকিৎসা এবং স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে অটো প্রমোশন দেওয়ার পন্থা অবলম্বন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। যে সকল শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তারা জন্য ভবিষ্যতে কোন বৈষ্যমের স্বীকার না হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে হবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে নটর ডেম কলেজে ২০২৪ সালের ব্যাচের পক্ষ থেকে আজ দুপুর ২ টায় মতিঝিল গেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
উল্লেখ্য কোটা সংস্কার আন্দোলন কে কেন্দ্র করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা বেশ কয়েক দফায় স্থগিত করা হয়েছিল। ১৮ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার পর সেটি ১১ই আগস্ট থেকে নেওয়ার কথা থাকলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ দেশজুড়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু জায়গায় এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগুনে পুড়ে গেছে এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ থেকে পুনরায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
কিন্তু গতকাল ছাত্রদের আন্দোলন এবং দাবির মুখে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়।