ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার
- আপডেট সময় : ০৪:১৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
আজকে আমি দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং গুরুত্ব বলে হয়তো শেষ করা যাবে না। আমাদের আয়- রোজগার এমনকি ব্যবসায়িক কাজ, ব্যাংকিং লেনদেন সকল ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার রয়েছে। তবে এর মধ্য থেকে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি নিয়ে আমি আজকে আপনার সামনে আলোচনা করব
দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার
১. শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট
আমরা ইন্টারনেট সবচাইতে বেশি ব্যবহার করে থাকি শিক্ষা ক্ষেত্রে। এর সবচাইতে বড় উদাহরণ হচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এর মাধ্যমে শিক্ষা যেমন সহজলভ্য হয়েছে তেমনি মানুষও ঘরে বসেই লেখাপড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন সমাধান জেনে নিতে পারছে।
২. যেকোনো তথ্য জানতে
প্রতিনিয়তই আমাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজন পড়ে। ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহারের মধ্যে এটি সবচাইতে বেশি ভূমিকা পালন করে। ঘরে বসেই আমরা যেকোনো সময় বিশ্বের যে কোন প্রান্তের খবর নিতে পারি।
এতে করে আমাদের জীবন জীবিকা অনেক সহজতর হয়ে উঠেছে।
৩. কৃষি কাজে ইন্টারনেট
ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহারের মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষি কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। তাইতো কৃষির উন্নতি মানে দেশের এবং মানুষের উন্নতি। আগেকার পুরাতন আমলের চাষাবাদ পদ্ধতি ছেড়ে এখন আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে অনেক বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
তাইতো ঘরে বসে কৃষকরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের রোগের সমাধান, বাজারদর, বিভিন্ন জায়গায় পণ্য সরবরাহ ইত্যাদি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারছে।
৪. যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেট
যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের ভূমিকা সম্পর্কে মনে হয় না আর নতুন করে কিছু বলতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে প্রিয় মানুষটির সাথে অডিও কল, ভিডিও কল কিংবা চ্যাট করা সম্ভব হয়।
এতে করে হাজার হাজার মাইল দূরে কাছের মানুষের সাথে কথা বললে মনে হয় সে যেন একদমই কাছেই রয়েছে।
ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার
৪. ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ইন্টারনেট
এইতো অল্প কিছু বছর আগেও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। তার উপরে টাকার পরিমাণ বেশি হলে সেটার রিস্ক তো আছেই।
কিন্তু এখন আর এরকম কোন ঝামেলা নেই। ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা মুহূর্তেই বিশ্বের যেকোন প্রান্তে টাকা পাঠাতে পারি। সেই সাথে টাকা পাঠানোর ঝুঁকিও নেই।
৫. চিকিৎসা শাস্ত্রে ইন্টারনেট
যেকোনো অসুখ-বিসুখে আমাদের সর্বপ্রথম ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। এতে করে গভীর রাত কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পক্ষে খুব সহজেই একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না।
কিন্তু অনলাইনের টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই অল্প কিছু টাকা খরচ করেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়। এতে করে সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচে এবং খুব সহজে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায়।
৬. অর্থ উপার্জন
এটা বলাই বাহুল্য যে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অর্থ উপার্জন অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা।
ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়াতে আমরা ঘরে বসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে বিপুল পরিমাণের টাকা আয় করতে পারি।
৭. বিনোদনের ক্ষেত্রে
আগেকার দিনে মানুষের বিনোদনের মাধ্যম খুবই কম ছিল। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের কারণে ঘরে বসেই নাটক সিনেমা ইত্যাদি দেখা যায়।
যার কারণে মানুষের অবসর সময় কাটানোর ভালো একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।
৮. গবেষণা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট
যেকোনো ধরনের গবেষণা কিংবা রিসার্চ করার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণে তথ্য। ইন্টারনেট ছাড়া আগের যুগে এই কাজটি করা অনেক কঠিন ছিল।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং জার্নাল ঘেটে তথ্য গুলো সংগ্রহ করার কাজ এ প্রয়োজন হতে বিপুল পরিমাণের সময় এবং অর্থ।
কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোন তথ্য সহজ হবে হওয়ার কারণে গবেষণা ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থ দুটি বেঁচে গেছে।
ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার
৯. সামাজিক নিরাপত্তা
আমরা এখন ইন্টারনেটের সবার হাতের মুঠোয় হওয়ার কারণে যেকোনো সামাজিক সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধান নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করতে পারি।
সেই সাথে কোন জায়গায় একটি দুর্ঘটনার খবর কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর সারা দেশে মুহূর্তের ভিতর ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এতে করে খুব দ্রুত হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকায় তথ্য ইন্টারনেট এবং ফেসবুকে দিয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা গিয়েছে।
১০. রাস্তাঘাটের লোকেশন
ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জিপিএস কিংবা স্যাটেলাইট লোকেশন।
এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পারি কোন কোন রাস্তা গুলিতে জ্যাম রয়েছে এবং আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর উপায় গুলো কি কি।
এর ফলে খুব সহজে আমরা এক স্থান থেকে অন্য অচেনা স্থানে খুব সহজেই অ্যাড্রেস খুঁজে বের করতে পারি।
আশা করি ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার গুলো সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি অনেকবার এসেছেন।