অসহযোগ আন্দোলন কিভাবে হবে জানালো ছাত্ররা

- আপডেট সময় : ১০:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারের পতনের এক দফা দাবি নিয়ে আগামী কাল রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। উক্ত আন্দোলনের জরুরি সকল সেবা ছাড়া সরকারকে অসহযোগিতার আন্দোলন জানিয়েছেন এই সমন্বয়কের দল।
সেই অসহযোগ আন্দোলনে কি কি করা হবে আর না করা হবে সে নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রূপরেখা তুলে ধরেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ের আসিফ মাহমুদ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে সেই দাবিতে বলা হয় এখন আর ৯ দফা দাবি নেই তাদের দাবি এখন এক দফা।
তাদের ঘোষণাকৃত অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:
আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দেন
• কোন ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা কেউ প্রদান করবেন না।
• বাসা বাড়ির পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাস বিল পরিশোধ না করা আহবান।
• দেশের সকল ধরনের বেসরকারি অফিস আদালত সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা বন্ধ রাখতে হবে। কেউ অফিসে যাবে না কিন্তু মাস শেষে বেতন নিবেন।
• অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমূহ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
• প্রবাসীদের কেউ সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে কোন ধরনের রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠাবে না।
অসহযোগ আন্দোলন কিভাবে হবে জানালো ছাত্ররা
• সারা দেশে সকল ধরনের সবার সেমিনার এবং সভা, আয়োজন বর্জন করতে হবে।
• বিভিন্ন বন্দরে কোন কর্মীরা কোন ধরনের পণ্য খালাস করবে না।
• দেশের কোন কলকারখানা কিংবা গার্মেন্টস চলবে না। শ্রমিকরা কেউ অফিসে যাবে না।
• দেশের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এবং শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবে না।
• জরুরী এবং প্রয়োজনীয় লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের শুধুমাত্র রবিবারে ব্যাংক খোলা রাখা হবে।
• যে সকল ব্যক্তিরা পুলিশ কাহিনীতে কর্মরত আছেন তার রুটিন ব্যতীত অন্য কোন ডিউটি, রিয়ট ডিউটি কিংবা প্রটেস্টে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানা রুটিন ডিউটি করবে।
• দেশ থেকে যেন কোন টাকা বাইরে পাঠানো না হয় সেজন্য সকল ধরনের অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
• বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি, নৌবাহিনীর লোকজন ব্যতীত বাকি বাহিনীর লোকজন সেনানিবাসের বাইরে ডিউটি পালন করবে না ভেতরে অবস্থান করবে।
• সরকারি আমলারা সচিবালয়ে অফিস করতে যাবেন না। ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে অফিস করবেন না।
• বিভিন্ন ধরনের বিলাস দ্রব্যের শোরুম, হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি প্রয়োজনে সেবা যেমন হাসপাতাল, ফার্মেসি, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র, গণমাধ্যম, ইন্টারনেট সেবা সহায়তা ইত্যাদি সেবার জন্য পরিবহন সার্ভিস চালু রাখতে হবে।
যে সকল দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করা হয় সেগুলোও সকাল ১১ টা থেকে বেলায় একটা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে বলে জানান সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
সেই সাথে পূর্বের ন্যায় যদি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয় কিংবা কারফিউ জারি করা হয় তাহলে গণভবন ঘেরাও করার কথাও তারা জানান।